![মাদারীপুরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অর্থ লোপাটের অভিযোগ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/03/avijit_abnews_118462.jpg)
মাদারীপুর, ০৩ জানুয়ারি, এবিনিউজ : অস্তিত্ববিহীন মন্দিরের নামে মাদারীপুরে কর্মরত সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার সঞ্জয় কর্মকার অভিজিতের বিরুদ্ধে মাদারীপুর জেলা পরিষদ থেকে সরকারী টাকা লোপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে মাদারীপুরবাসী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলায় সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিউজ করার ভয় দেখিয়ে অস্তিত্ববিহীন ‘শ্রী শ্রী ঝাউতলা সার্বজনীন কালিমন্দির’ এর নামে মাদারীপুর জেলা পরিষদ থেকে সিপিপিসি’র মাধ্যমে অর্ধ লাখ লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি সম্প্রতি সেই লোপাটকৃত টাকা জেলা পরিষদকে ফেরত দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলেও জেলা পরিষদ এখনো আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এতে জনমনে ব্যাপক সমালোনার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন ও অনুসন্ধানে গিয়ে আরও জানা যায়, সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোটার সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ ও সময় টিভির ক্যামেরাপারসন শাহাদাত আকনকে সাথে নিয়ে কালকিনি উপজেলার ঝাউতলা এলাকার শ্রী ঝাউতলা সার্বজনীন কালিমন্দিরের নাম ব্যবহার করে একটি আবেদন করে। যেখানে মন্দিরের উন্নয়ন সংস্কারের জন্য সভাপতি হয়ে সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পেক্ষিতে জেলা পরিষদ থেকে তিন কিস্তিতে অর্ধ লাখ টাকা তাকে দেয়া হয়।
১ বছর আগে ও পরে কালকিনির ঝাউতলা এলাকায় কোন কালিমন্দির নেই। শ্রী ঝাউতলা সার্বজনীন কালিমন্দিরের নামে সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ ও তার সহযোগীদের নিয়ে সরকারী এই টাকা লোপাট করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি বিশেষ মহল চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ শ্রী ঝাউতলা সার্বজনীন কালিমন্দিরের নামে পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্ধ নিয়েছে। বিষয়টি জানার পরে তাকে বলা হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই এর সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোটার সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নাম ভুল হয়েছিল। ১ বছর পরে অফিসের সাথে কথা হয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়া হবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্ববাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ (উপ-সচিব) জানান, কিছু ত্রুটি ছিল, সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। আরো ত্রুটি পেলে সংশোধন করা হবে।
উল্লেখ্য, সঞ্জয় কর্মকার অভিজিৎ বিভিন্ন মন্দিরের নামে মানিরিসিট তৈরীর মাধ্যমে বিভিন্ন অফিস থেকে চাদা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দৈনিক দেশকাল নামে একটি পত্রিকায় অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে জেলা প্রশাসক, এলজিইজি, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর, মাদারীপুর পৌরসভা, সির্ভিল সার্জন অফিস থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে চাদাবাজি ও দুর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
এবিএন/সাব্বির হোসাইন আজিজ/জসিম/এমসি