জামালপুর, ০৫ জানুয়ারি, এবিনিউজ : জামালপুরের মেলান্দহে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, ১৯২৯ সালে আদ্রা ইউনিয়নের থুরী মৌজার অন্তর্গত পশ্চিম থুরী গ্রামের তয়েজ শেখ গরিবুল্লাহর কাছে ৪০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। যার দলিল নং-৪২৯৩, তারিখ-১০.১২.২৯।
দাতা-গ্রহিতাকে জমির ভোগ দখলও বুঝিয়ে দেয়ার কিছুদিন পর দেখা যায় দলিলে ভুলবশত: ৪৯৬ নং দাগের স্থলে ৬৯৬ লেখা হয়। পরে দলিল সংশোধনীও করা হয়। ইতোমধ্যেই দাতা-গ্রহিতা মারা যান। ক্রেতার ওয়ারিশ আয়নাল হক গংরা সেই জমি ভোগ দখল করা অবস্থায় ৮৬ বছর পর ২০১৫ সালে দাতার ভাতিজা-সুরুজ-ভাতিজী রূপবানগং জমি জবর দখল করেন। মজার বিষয় হচ্ছে-দাতার ছেলে-মেয়েরা বিক্রিত জমির উপর কোন দাবী করেনি।
এমতাবস্থায় ২৮ আগস্ট’১৫ আয়নাল হক গং জামালপুর কোর্টে মামলা নং-৩৭২/১৫ দায়ের করেন। মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে বাদিপক্ষ জমি পূণ: ভোগদখলে নেয়।
কিন্তু বিবাদী সুরুজের পক্ষ আদালতের এই রায় উপেক্ষা করে জমি দখলের পায়তারাসহ বাদী পক্ষকে হুমকি প্রদর্শন করায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে। এ মতাবস্থায় আয়নাল হক গং আদালতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা (নং-১৫৫/১৫ অন্য) দায়ের করেন। বিবাদীপক্ষ মামলার নোটিশ পাবার পরপরই আবারো জমি জবর দখল করে। এ বিষয়ে আয়নাল হক গং আদালতে ভায়েলেশন মামলা নং-৩/১৬ দায়ের করেন। বর্তমানে মামলা দু’টি আদালতে বিচারাধীন আছে।
ইতোমধ্যেই ডিসেম্বর মাসে আদালত বন্ধ থাকার সুযোগে বিবাদী সুরুজ গং তারিখ-২.১২.১৭ বিরোধীয় জমির গাছপালা কেটে নিতে থাকে। বাদিপক্ষের লোকজন গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন। গ্রামবাসি মামলা নিস্পত্তি নাহওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে শান্তি-স্থিতি বজায় রাখার আহবান জানান। এরপরও সুরুজ গং বাদিপক্ষের লোকদের ভয়ভীতি-হুমকী প্রদর্শন ও গাছকেটে নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে আয়নাল হকের পক্ষ গত ২৮ডিসেম্বর’১৭ মেলান্দহ থানায় জিডি (নং-১০৫৮) দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সুরুজের পক্ষের লোকেরা জানান-জমির দাতা পাওনার হিস্যার তুলনায় বেশি জমি বিক্রি করেছেন। বিরোধীয় দাগে আমরা অংশ পাব। আয়নাল হক পক্ষের লোকেরা জানান-দাতা এই দাগ ছাড়াও অন্যান্য দাগের জমি বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া বিরোধীয় দাগটি দাতার প্রথম বিক্রিত জমি। যদি দাতা জমি বিক্রি বেশি করে থাকেন; তাহলে শেষের কবলার দাগে দেনা-পাওনা থাকবে। আগের কবলায় কেন?
এবিএন/মো: শাহ্ জামাল/জসিম/নির্ঝর