বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

আক্কেলপুরে পুকুর খনন ঝুঁকিতে মসজিদ-সড়ক

আক্কেলপুরে পুকুর খনন ঝুঁকিতে মসজিদ-সড়ক

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট), ০৬ জানুয়ারি, এবিনিউজ : জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আলী মাহমুদপুর গ্রামের একটি পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে করে ঝুঁকিতে রয়েছে পুকুরের উপর নির্মিত জামে মসজিদ ও গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তা। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে মসজিদ ও রাস্তাটি। গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার আলী মাহমুদপুর গ্রামের গফুর আকন্দ নামে এক ব্যক্তি। তিনি পুকুরের মাটি কেটে গোপীনাথপুরে নির্মিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি ভবনের মাঠ ভরাটের কাজে মাটি দেয়ার বিনিময়ে ওই পুকুর খনন করছেন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জোয়ারদারের সাথে যোগসাজশ করে পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রায় দুই বিঘা জমিটির ৪ ভাগের তিন ভাগ মাটি কেটে নিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইঞ্জিনচালিত এক্সকেভেটর (মাটি খনন যন্ত্র) দিয়ে পুকুর থেকে মাটি উত্তোলন চলছে। একের পর এক ট্রাকে করে মাটি অন্যত্র নেওয়া হচ্ছে। উত্তোলিত মাটি পাশের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি ভবনের মাঠ ভরাট করা হচ্ছে। ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি ভবনের কাজে নিয়োজিত কয়েকজন শ্রমিক মাটি কাটার পুরো প্রক্রিয়া তদারক করছেন। তারা জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জোয়ারদার বিষয়টি তদারকি করছেন।

যোগাযোগ করা হলে আলী মাহমুদপুর গ্রামের গফুর আকন্দ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমঝোতা করেই তিনি মাটি কাটছেন। এ বিষয়ে একটি মৌখিক চুক্তিও হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, পুকুর খননে যে টাকা ব্যায় হবে তা আমাকে দিতে হবে না। বিনিময়ে পুকুরের মাটি সব চেয়ারম্যান নিয়ে যাবেন। আমাকে আর কোন টাকা খরচ করতে হবে না।

গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জোয়ারদার বলেন,একটি মহৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখে পুকুর খননের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এলাকার মানুষ যদি মাটি না দেয় তাহলে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আই এইচ টি) ভবনের মাঠ কিভাবে ভরাট করা যাবে। আর জমির মালিক যদি তার জমিতে পুকুর খনন করে তাহলে অসুবিধা কোথায়।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বলা আছে, সেতু, কালভার্ট, সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকার ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু ও মাটি উত্তোলন করা যাবে না। অথচ, যে পুকুর থেকে মাটি তোলা হচ্ছে, তার সাথেই লাগানো গ্রামের লোকজনের চলাচলের জন্য রাস্তা ও মসজিদ রয়েছে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় বিশেষ করে গ্রামের মসজিদ, রাস্তা ও পাশের জমির জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে অফিসের লোক পাঠাচ্ছি বিষয়টি খোঁজ নেয়ার জন্য।

এবিএন/আতিউর রাব্বী তিয়াস/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত