![লালপুরের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আহত ২০](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/06/injured_abnews_119050.jpg)
লালপুর (নাটোর), ০৬ জানুয়ারি, এবিনিউজ : নাটোরের লালপুর উপজেলার নওশারা সুলতানপুর চর এলাকার মাঠ ফসলের অত্যাচারের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে নওশারা সুলতানপুর চরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ফতেপুর গ্রামের মৃত আবুল হেসেনের ছেলে আজবার আলী (৩৫), নওপাড়া গ্রামের মৃত ইজার উদ্দিনের ছেলে সাইফুল (৩৬) ও পানসিপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার মোল্লার ছেলে ফজলু মোল্লা (৪৩)কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নওশারা সুলতানপুর গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে গরু-ছাগল ও মহিষের মাধ্যমে মাঠের ফসলের ক্ষতি করে আসছে। নিজ জমির ফসলের ক্ষতি করায় গত শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) পানসিপাড়া গ্রামের মৃত ছামসের মোল্লার ছেলে নিজাম উদ্দিন (৩৮) নওসারা সুলতানপুর চর এলাকার ইনারুলের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে নিজামকে মারপিট করে ইনারুল ও তার ছেলে সওদাগর, সাগর ও চর এলাকার জিন্নাহ।
নিজামকে গুরুতর অবস্থায় লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার সকালে পানসিপাড়া, ফতেপুর ও নওপাড়া এলাকার লোকজন চর এলাকায় নিজ নিজ জমিতে যান কাজের জন্য। এ সময় ইনারুলসহ অন্যান্যদের ফসলের ক্ষতি করতে নিষেধ করায় চরাঞ্চলের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সৃষ্ট এ সংঘর্ষে আহত পানসিপাড়া গ্রামের আমির মোল্লার ছেলে শফিকুল (৪৫), ওয়াহেদ মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমান টোনা (৪২), মৃত কানু মন্ডলের ছেলে ফজলু মন্ডল (৪৫), মৃত মোজাহার মন্ডলের ছেলে মুনছুর (৩৮), খলিল মন্ডলের ছেলে বছির মন্ডল (৫৫), আমিরুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (৩২), মজের প্রামানিকের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৭০), নওশারা সুলতানপুর চরের আমির কবিরাজের ছেলে হারান কবিরাজ (৩০), ওয়াহেদ আলীর ছেলে ইনারুল ইসলাম (৩৪), ইনারুল ইসলামের ছেলে সওদাগর (১৮), ইনারুলের ছেলে সাগর (১৫), রাইটা বাহাদুরপুর চরের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে আহাদ আলী (৪২)কে আহত অবস্থায় লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন পানসিপাড়া গ্রামের মাহারুল ইসলামের ছেলে নুসারুল (৩০), মৃত ইজার প্রামানিকের ছেলে রাব্বি (৩৫), আজের মালিথার ছেলে আলতাফ মালিথা (৫০), ফতেপুর গ্রামের জানবক্সের ছেলে নিজাম (৪৫)।
এ ব্যাপারে নওশারা সুলতানপুর মাঠ কমিটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান পলাশ বলেন, চর এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাঠ ফসলের ক্ষতি করে আসছে। স্থানীয়ভাবে ও প্রশাসনিক ভাবে সালিশ করেও এর কোন সুরাহা হচ্ছে না। ফসলের ক্ষতিকারীরাই পরিকল্পিতভাবে জমির মালিক, পাহারাদার ও শ্রমিকদের উপর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এ ঘটনায় লালপুর থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও আব্দুর রাজ্জাক জানান, ইতিমধ্যে এ ঘটনায় ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিজামসহ ১৩ জন এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ভর্তিকৃতদের মধ্যে ৩-৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হতে পারে।
এ ব্যাপারে লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএন/মোয়াজ্জেম হোসেন/জসিম/এমসি