![শীতে বিপর্যস্ত নীলফামারীর জনজীবন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/06/cold_abnews_119052.jpg)
নীলফামারী, ০৬ জানুয়ারি, এবিনিউজ : প্রচন্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের সর্বশেষ জেলা নীলফামারী। গত তিনদিন থেকে শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে নীলফামারীসহ জেলার সর্বত্র। সন্ধার পর থেকে বৃষ্টির মত টিপটিপ করে ভারী কুয়াশা পরছে।
গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছে এখানকার লোকজন। আর এই কনকনে শীতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ। তীব্র শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষজন কাজে যেতে না পেরে নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার সারাদিনে সূর্য্যরে মুখ দেখা যায়নি। দিনের বেলাতেও কুয়াশার কারণে ভারী যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। রাস্তা-ঘাটে লোকজন চলাচল কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাহিরে বের হচ্ছে না। গ্রামে ও হাট-বাজার গুলোতে দেখা দেছে লোকজন খড়-কুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে বিমান ও ট্রেন চলাচলের সিডিউলের বিপর্যয় ঘটছে। শীত নিবারন করতে গরম কাপড় সংগ্রহে নিম্ন আয়ের মানুষরা পৌরসভা বাজার ও রেললাইনে পুরানো কাপড়ের বাজারে ভীড় করছেন। শীত বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে পুরাতন রেললাইনের ধারে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে।
এদিকে প্রচন্ড শীত আর হিমেল বাতাসে স্থবির হয়ে পরেছে মানুষজন।বিশেষ করে রেললাইনের ধারে ঝুপরি ঘড়ে থাকা মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে।
ঝুপরি ঘড়ে থাকা লাভলী জানান, প্রচন্ড শীত আর বাতাসে সারারাত বসে রাত কাটাতে হচ্ছে। শীতের তীব্রতার কারনে ঝুপরি ঘড়ে থাকা দায় হয়ে পরেছে। শীতের তীব্রতার কারণে শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব বেড়েছে। আর এই রোগে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।শনিবার নীলফামারীতে সর্বোচ্চ ১১.৮ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পরিমাপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিমলা আবহাওয়া কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।
ডোমার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে ৩ হাজার ৭৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া আরও ১ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
এবিএন/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/এমসি