বন্দর, ০৬ জানুয়ারি, এবিনিউজ : বন্দর নাগরিক কমিটির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন, দীর্ঘদিন যাবত নানা সমস্যায় জর্জরিত বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি, এমন খবর পেয়ে এবং এলাকাবাসীর আবেদনের ফলশ্রুতিতে তাৎক্ষনিক কর্মসূচি গ্রহণ করে সংগঠনটি।
চিকিৎসা সেবার নামে হয়রানি সহ নানা রকম অনিয়মের ব্যপারে অভিযোগ পাওয়া যায় হাসপাতালটিতে, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে প্রায় বন্ধ হওয়ার অবস্থা বন্দর উপজেলা সরকারি হাসপাতালটি। অত্র উপজেলায় নেই কোন ভালো মানের হাসপাতাল, এলাকার কয়েক লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
দিনের পর দিন সরকারি চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও চিকিৎসা সেবার নামে কথিত দালালদের প্রতারণা বেড়েই চলেছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এই এলাকার নিরীহ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা। এমনই সংবাদে হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন বন্দর নাগররিক কমিটি।
বন্দর নাগরিক কমিটির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল হাসপাতালে প্রবেশ করেই আবাসিক এলাকায় যান, পরে জরুরী বিভাগে গিয়ে দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নাহিদ হাসানের সাথে কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বন্দর নাগরিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব আবু সাঈদ চুন্নু মাষ্টার, আনোয়ার হোসেন ফকির, সাধরণ স¤পাদক কবির সোহেল, প্রচার স¤পাদক সালাউদ্দিন প্রমুখ।
সন্ধ্যার পর হাসপাতালের যাবতীয় বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং অনিয়ম বন্ধে নাগরিক কমিটি কর্মসূচী গ্রহণ করবেন বলে জানান। হাসপাতালের আধুনিক যন্ত্রপাতি ও লোকবল সংকটের কারণে বিগত সময়গুলোতে ভাল সেবা মেলেনি এবং একটি মাত্র এ্যাম্বুলেন্স নানা অনিয়ম, মেডিসিন অবাধে বাহিরে বিক্রয় সহ চলছে একমাত্র সরকারি হাসপাতালটিতে।
অথচ বহু পুরাতন এবং বিশাল এলাকাজুড়ে নির্মিত হাসপাতালটির কার্যক্রম চলছে কর্মচারী/কর্মকর্তাদের নিয়মে এবং ইচ্ছায়। কেউ কেউ নিজের মুক্তিযোদ্ধা বাবার পরিচয়ে, মামার পরিচয়ে, শীর্ষস্থানীয় নেতার পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতি করছেন, দিনের পর দিন হাসপাতালটিকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে। এই কারণে অনেকেই ভয়ে হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন।
সরকারি হাসপাতালে দিনের বেলা চিকিৎসা নিতে আসা জনসাধারণ কোনো রকম সেবা পেলেও রাত হলেই পাল্টে যায় সকল দৃশ্য।
এবিএন/নাসিরউদ্দিন/জসিম/এমসি