বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • ডিমলায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নানা দূনীতির অভিযেগ

ডিমলায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নানা দূনীতির অভিযেগ

ডিমলায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নানা দূনীতির অভিযেগ

ডিমলা (নীলফামারী), ০৭ জানুয়ারি, এবিনিউজ : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিন খড়িবাড়ী মুন্সিপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ ও মাদ্রাসার জমি ক্রয় ও বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ডিমলা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ডিমলা, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ, ডিমলা, নীলফামারী বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী মাদরাসা প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর গত ১৭/১০/১৯৯৯ ইং তারিখ মাদরাসার সহ সুপারের শূন্য পদ দেখিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় গত ১৯/১০/১৯৯৯ ইং তারিখে ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞক্তি প্রকাশ করে এবং তৎকালিন উক্ত মাদরাসার সভাপতি উপজেলা নিবাহী অফিসার এর সহিস্বাক্ষর জাল করে সহ সুপার নিয়োগ করেন। এই নিয়োগের বিপরীতে নীলফামারী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করা হয়। উক্ত মামলায় সেই সময়কার ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সুপার দোষী সাব্যস্ত হয় বিবাদীপক্ষ সুপার মোহাম্মদ আলী তার অর্থ শক্তি কাজে লাগিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।

এছাড়াও বিবরনীতে আর প্রকাশ থাকে যে গত ১১/১০/১৫ ইং তারিখে জমি ইজায়া প্রদানে দূনীতি, জামে মসজিদের ঈদগামাঠ এর জমি ক্রয়ের ফান্ড হতে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আতœসাৎ ও পাশাপাশি গত ১/৯/২০০০ ইং তারিখে দৈনিক সমকাল প্রত্রিকায় একজন সহকারী শিক্ষক একজন নৈশ্যপ্রহরীর স্থায়ী পদে বলবৎ থাকলেও শূন্য পদ দেখিয়ে নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং উক্ত মাদ্রাসার ক্রয়কৃত ৩৩৫৫ দলিলে সুপার মোহাম্মদ আলী সেকেন্দার আলীর নামে দলিল সম্পাদন করে এবং ২৮/০৪/২০১৪ ইং তারিখে নিজ নামে উক্ত জমি লিখিয়া নেয়।

অপর দিকে উল্লেখিত দক্ষিন খড়িবাড়ী মৌজার গেন্দুপাড়া মাদ্রাসার ২৬৫ খতিয়ানের ২ একর ৭ শতক ক্রয়কৃত জমি এবং দলিলকৃত ১ একর ২৩ শতক মোট ৩ একর ৩০ শতক জমি মাদ্রাসার রেকড ভুক্ত করে সুপার ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। উক্ত মাদ্রাসায় ১ম থেকে ৫ম পর্যন্ত ইবতেদায়ী শ্রেণিতে কোন ছাত্র-ছাত্রী না থাকা সত্বেও বিভিন্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে নকল রেজুলেশন করে ছাত্র-ছাত্রী দেখিয়ে সরকারী বেতন ভাতাদি ও উপবৃত্তি দীর্ঘদিন যাবত ভোগ করে আসছে।

এছাড়া মনিরা আক্তার কে ৯ম শ্রেণি সহ ১০ম শ্রেণিতে স্থানান্তুর করে তার নাম রাখা হয় নিলুফা আক্তার এবং পিতার নাম আব্দুর রহিম। এরকম রহ-রহ দু-নাম্বারি কাজ করে আসছে। এ ব্যাপারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সুপার মোহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন আমার নামে এর আগে কতকিছু হয়েছে। কেউ কিছু করতে পারেনি। আপনারা আপনাদের কাজ করুন।

এলাকার অভিজ্ঞজনেরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এবিএন/বাদশা সেকেন্দার ভুট্টু/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত