![জেএসসি ও পিএসসিতে দুই বোনের সাফল্য: ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন নিয়ে শঙ্কা...](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/08/abnews-24.bbbbbbbbbbbbb_119414.jpg)
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ০৮ জানুয়ারী, এবিনিউজ : জেএসসি ও পিএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে বাজিমাত দেখালে পৃথিমপাশার দরিদ্র দুই বোন। দেখিয়ে দিলো দরিদ্রতার বেড়াজাল চিন্ন করে কিভাবে সফল হওয়া যায়। তবে পিতা দিনমজুর হওয়ায় তাদের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে এখন রয়েছে অনেকটা শঙ্কায়। সরেজমিনে দেখা যায়, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পৃথিমপাশা গ্রামে ৬-৭ শতকের বাড়ীতে এক ঝুপড়ি ঘরে বাসবাস করেছে মেধাবী দুই বোন জুমারা আর মারিয়াম। এ বাড়িই একমাত্র তাদের সম্ভল। তাদের পিতা শাহের উদ্দিন দিনমজুর ও মা ইয়ারুন বেগম গৃহিনী। জুমারা আক্তার ২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষায় আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে অংশ নিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পায় অপর বোন মারিয়াম জান্নাত সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পায়।
জুমারা আর মারিয়ামের মা ইয়ারুন বেগম জানান, আমার স্বামী সারাদিন মানুষের বাড়ীতে কাজ করে যে টাকা উপার্জন করেন তা দিয়ে পরিবারের খরচ যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। তার উপর মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালানো দুর্বিসহ ব্যাপার। অনেক কষ্ঠ করে মেয়েদের এতদূর লেখাপড়া করিয়েছি, জানিনা আর পারবো কিনা। মেধাবী আমাদের মেয়েদের ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। জুমারা আর মারিয়াম জানান, শত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে আমারা কোন প্রাইভেট না পড়েই এ রেজাল্ট করেছি। এতোদিন আমাদের লেখাপড়া খরচ যোগিয়েছেন স্থানীয় সমাজসেবী সংগঠন হযরত ফাতেমা (আ:) সমাজকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান নবাব আলী হামিদ খাঁন। আমাদের সখ লেখাপড়া শেষ করে আদর্শ শিক্ষক হবো। কিন্তু দারিদ্রতার বেড়াজাল চিন্ন করে জানিনা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবো কিনা।
আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির জানান, কৃতি এ দুই শিক্ষার্থী বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠান লেখাপড়া করছে। তারা আমাদের গর্ব। তাদের বিনাবেতনে লেখাপড়ার সুযোগসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে আমি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেব।
এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/তোহা