![লক্ষ্মীপুরে শীতের পিঠা: সন্ধ্যা নামলেই ক্রেতাদের সমাগম](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/10/lokkhipur-pitha_119772.jpg)
লক্ষ্মীপুর, ১০ জানুয়ারি, এবিনিউজ : শীতকাল মানে পিঠা খাওয়ার উৎসব। শীত এলে শহর, নগর ও গ্রামে পিঠা খাওয়ার ধূম পড়ে। শীতের পিঠা গ্রামীণ ঐতিহ্য। শীত মওসুমে গ্রামীণ বধূরা রকমারী পিঠা তৈরি করেন। শীতের পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা (ধুপি পিঠা) একটি অন্যতম পিঠা। ভাপা পিঠা আবার হরেক রকম পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। কখনো মিষ্টি ভাপা, কখনো ঝাল ভাপা। খেজুর রস দিয়ে ভাপা পিঠা খেতে বড়ই সুস্বাদু ও মুগ্ধকর।
শীত এলেই শহর ও গ্রামীণ হাটবাজারে নানা রকম পিঠা বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা ও চিতল পিঠা। এসব পিঠার সমাদর সবখানেই সমানভাবে রয়েছে। শীত বাড়ার সাথে সাথে শহরের ফুটপাতে শীতের পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে।
লক্ষ্মীপুর শহরে এই শীতে পিঠা ব্যবসায়ীদের পিঠা বিক্রির হিড়িক পরেছে। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম। শহরের অলিগলিতে রাস্তার আশপাশে পিঠাপুলির ভ্রাম্যমান দোকান বসে। এসব দোকানে কিশোর থেকে শুরু করে বয়ষ্ক লোকেরা পিঠা তৈরি করে ক্রেতার কাছে বিক্রি করে। এ পিঠা বিক্রি করে সংসার চালায় তারা। তবে সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতার সমাগত বৃদ্ধি পায়। সবাই একসাথে মজা করে শীতের পিঠার স্বাদ উপভোগ করে। সকল বয়সের একসাথে পিঠা খাওয়া দেখে মনে হতে পারে কোন উৎসব চলছে। পিঠার দামও বেশি নয়। প্রতিটি পিঠা ৫-১০টাকায় বিক্রি হয়। চিতল পিঠা ৫ টাকা ও ভাপা পিঠা ১০টাকা দরে বিক্রি করে। এতে এ ব্যবসায় লাভও থাকে।
লক্ষ্মীপুর শহরের চকবাজার এলাকা, পৌর ভবনের সামনে, কলেজ রোড, উত্তর তেমুহনী, দক্ষিন তেমুহনী ঝুমুর এলাকা, বাগবাড়ি, সামাদ স্কুল মোড়সহ শহরের বিভিন্ন জনসমাগম স্থলে পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে, প্রতিষ্ঠানের সামনে ভ্রাম্যমান পিঠা বিক্রি শীতের ঐতিহ্যকে লালন করছে। ক্রেতাদের সমাগমে বিক্রেতারাও খুশি।
লক্ষ্মীপুর পৌর ভবনের সামনে পিঠা বিক্রেতা আজাদ জানান, তিনি প্রতি শীত মওসুমে পিঠা বিক্রি করেন। এসময় তার প্রতিদিন প্রায় ৪-৫হাজার টাকা বিক্রি হয়, যার মধ্যে প্রায় হাজার টাকার মতো তার লাভ তাকে। বিক্রি ভালো বিধায় সে খুশি।
শহরের ব্যবসায়ী রোমান পিঠা খেতে এসে বলেন, আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এসব দোকান থেকে পিঠা খাই। শীত কালের খাবার মধ্যে পিঠা অন্যতম। আগে যদিও বাড়িতে এসব পিঠা বানানোর হিড়িক পড়তো এখন তা আর দেখা যায় না।
ব্যাংকার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি অফিস শেষ করে মাঝে মাঝে এসব দোকান থেকে পিঠা কিনে খাই। সন্ধ্যার নাস্তাও সারে শীতের একটা আমেজও পাওয়া যায়। এসব পিঠা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। তাই শতব্যস্ততার মাঝেও এই ঐতিহ্যকে লালন করি।
এবিএন/অ আ আবীর আকাশ/জসিম/নির্ঝর