![কয়রায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুষ্ঠানে মারামারি: আহত ১৭](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/10/khulna_abnews24 copy_119808.jpg)
কয়রা (খুলনা), ১০ জানুয়ারী, এবিনিউজ : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১০ জানুয়ারি সকাল ১১টায় কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সভায় উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক আলামিন ইসলামের বক্তব্য চলাকালে কার্যালয়ের পেছনে মন্দির সংলগ্ন মাঠে জড়ো হওয়া নেতা কর্মীদের বসবার স্থানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন আ’লীগ নেতা মাওলা গাজী, সোহরাব ঢালী, কোহিনুর গাজী, রবিউল ইসলাম, যুবলীগ সদস্য মোজাফফর, ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম, রায়হান, জাকারিয়া, শ্রমিক লীগের উপজেলা সভাপতি হালিম গাজী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামালের কয়রায় কোন কর্মসূচী ছিল না। তার ছত্রছায়ায় পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত নেতা কর্মীদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, কার্যালয়ের ভেতরে আলোচনা চলাকালে পেছনের মাঠে হঠাৎ করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে নেতা কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতা আলামিন, জয়নাল আবেদীন, গোলাম কিবরিয়া, আব্দুল কাদের, মাকছুদুর রহমান, জামিরুল, উজ্জল আহত হয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান হাতে আঘাত পান। ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদের নির্দেশে জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল কয়রায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।
এব্যাপারে কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুষ্ঠানে মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এবিএন/সুবল রায়/জসিম/তোহা