![লক্ষ্মীপুরে ফসলীয় জমি জবরদখল করে প্রোজেক্ট!](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/13/soil_abnews_120333.jpg)
লক্ষ্মীপুর, ১৩ জানুয়ারি, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুর সদরের ২০ চররমনী ইউনিয়নে ব্যক্তি মালিকানা ফসলীয় প্রায় ১৪ একর সম্পত্তি জবরদখল করে খাল কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল ঘুরে জানা গেছে, চররমনীর ৭নং ওয়ার্ডস্থ জেএল নং ৯৭, খতিয়ান নং ১০৬৬, দাগ নং ৯৫১/৯৫২/৯৫৩ হালে ২৪২৯/২৪৩১/২৪৩৩ দাগের আন্দরে ২.৭৩একর এবং ওই মৌজার ১১৬৩নং খতিয়ানে ৯৫১/৯৫৩হালে ২৪৩০/২৪৩২/১৬৬৪/হালে ৪৩৫০ /৪৩৪৬ দাগান্দরে ৩.৯৬ একর।
ওই মৌজার ১২৩৪নং খতিয়ানভুক্ত ১৬৯৩নং দাগে ৬৪ শতাংশ।ওই একই মৌজার ৩৬৯নং খতিয়ানে ১৬৫৪/১৬৯২ দাগান্দরে ৪.১২একরসহ মোট ১৩.৬৫একর ফসলীয় জমিতে বিভিন্ন বর্গা চাষিরা রবি মৌসুমে ফসল শীম শসা টমেটো মরিচ মটর ইত্যাদি করে আসছিলো।
হঠাৎ পার্শ্ববর্তী উপজেলা কমলনগরের চরমার্টিন ইউনিয়নের আবু ছায়েদ খোকনের ছেলে মাইনউদ্দিন ওরফে রকিবুল ইসলাম (৪৫), মাসউদ (৪০), আবদুল মন্নান (২৮), আতিক উল্লার ছেলে আলমগীর (৩৮), খাজা আহম্মদের ছেলে সেলিম (৪৫), মৃত ইসমাইলের ছেলে বেল্লাল (৪২) মিলে ইরি প্রোজেক্ট করার নামে জমি জবরদখল করে রাতারাতি খাল কেটেছে। এ নিয়ে জমির প্রকৃত মালিকগণ তাদের বাধা দিতে গেলে তারা তাদের বিভিন্ন হুমকিধমকি প্রদান করে। জমিতে মালিকদের আসতে নিষেধ করে আলমগীর।
এ নিয়ে জমির একাংশের মালিক খোরশের আলম লক্ষ্মীপুর সদর কোর্টে বাদী হয়ে মামলা করেন।যার নং মিস -১৭/১৮।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করতে নির্দেশ দেয়।
ভুক্তভোগী প্রকৃত জমির মালিক ও বর্গা চাষি ইব্রাহীমের ছেলে তসলিম, মনির আহম্মদের ছেলে সবুজ, সাইদুল হকের ছেলে বেচু, মুসলিম, ফারুক, আবদুল হাসিমের ছেলে নুরুল ইসলাম, শাহজাহানের ছেলে সালেহউদ্দিন, দুলালের ছেলে আনোয়ার, আবু মাতাব্বরের ছেলে নাজিম মাতাব্বর, সেলিমের ছেলে শাহজাহান, আবদুস শহীদের ছেলে আলী হোসেন, কালা মিয়ার ছেলে হোসেন আহম্মদ, সাইদুল হকের ছেলে মোঃ বেচু মিয়া-২, জাকের আহম্মদের ছেলে সৈয়দ আহম্মদ, জয়নাল আবেদীনসহ সকল ভুক্তভোগীরা অশ্রুসজল হয়ে জানান, আমরা রবি মৌসুমে শাকসবজি করে কিছু লাভবান হবো কিন্তু আলমগীর তার দলবল নিয়ে এসে তা করতে দিচ্ছে না। আমাদের বেগুন টমেটো ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে জোর করে রাতারাতি মেশিন দিয়ে খাল কেটে পানি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে। আমাদের বর্ষা মৌসুমে ফসল বন্যায় নষ্ট হয়ে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হয়।এখন আবার রবি ফসল করে আলমগীর বাহিনীর হাতে আমাদের সহায়সম্বল হারিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ফসল বুণেছি, তা যদি মাইর যায় তাহলে আমরা চাষিরা শেষ হয়ে যাবো। আমরা ইরি প্রোজেক্ট করতে চাই না।যে যার মতো ফসল করতে চাই।
এ নিয়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, আমি বিষয়টা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চাষিদের বলেছি তোমরা ফসল বুণো। তারা আরেক উপজেলা থেকে এসে আমাদের ফসল নষ্ট করে যাবে, তা হবে না কিছুুতেই।
বিএডিসি প্রকৌশলী সানাউল্লাহ বলেন, যতদিন এ সমস্যার সমাধান না হবে ততোদিন কাজ বন্ধ থাকবে। কৃষকেরা যদি প্রোজেক্ট না চায় তাহলে তা হবে না।
এ নিয়ে মেম্বার আবদুল মন্নান বলেন, ভাই আপনি কোন জাগায় আছেন, আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই।আলমগীর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এবিএন/আকাশ/জসিম/এমসি