ঝালকাঠি, ১৫ জানুয়ারি, এবিনিউজ : ঝালকাঠি বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউট অফিসের জানালার গ্রিল কেটে দূর্ধর্ষ চুরীর ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা অফিসে প্রবেশ করে টাকা রাখার ভোল্ট ও ড্রয়ের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক লুটে নিয়েছে।
গত শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে শহরের গুরুত্বপূর্ন ব্যবসায়ীক এলাকা ডাক্তার পট্টি রোডস্থ ছত্তার টাওয়ারের ৩য় তলায় বিকাশ ডিস্ট্রিবিউট অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই রাতে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা গ্রামে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের বাড়ীর কৃষক মাহাবুব আকন গোয়ালঘর থেকে হালের দুটি বলদ গরু চুরী হয়েছে বলে জানাগেছে। গত কয়েকদিন শহরের রুপপুর, কামারপট্টিসহ একাধিক এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় ভাবে খবর পাওয়া গেলে এব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।
বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি সদরের ডাক্তার পট্টি রোডস্থ ছত্তার টাওয়ারের ৩য় তলায় বিকাশ ডিস্ট্রিবিউট কার্যালয়ে প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সন্ধ্যার অফিস কার্যক্রম শেষে তালা ঝুলিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে যায়। পরের দিন রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা পিয়ন দুলাল মালী অফিসের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতেই অফিসের কয়েকটি ড্রয়ার ভাঙ্গা, কাগজপত্র এলোমেলো ছড়ানো-ছিটানো ও টাকা রাখার ভোল্ট ভেঙ্গে মেঝেতে ফেলে রাখা অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ভ অফিস পিয়ন দুলাল মালী তাৎক্ষনিক হাউজের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান (লিটু) ও সমির চক্রবর্তীকে ডাকাতির বিষয়টি অবহিত করেন।
খবর পেয়ে মাহবুবুর রহমান (লিটু) ও সমির চক্রবর্তী অফিসে ছুটে আসে ও ভোল্টসহ ৩টি ড্রয়ারের তালা ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে নগদ অর্থ চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন। এতে নগত ২৭ হাজার ১০০ শত টাকা ও অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র নষ্ট করে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তারা বিষয়টি ঝালকাঠি থানার জানালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাইজুল ইসলাম ও উপ-পরির্দশক সরোয়ার হোসেন ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউট অফিসের পক্ষ থেকে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানাগেছে।
উল্লেখ্য, এরপূর্বেও ঝালকাঠির বিকাশ ডিস্ট্রিবিউট অফিসের দুই কর্মচারীর মটোরসাইকেলের গতিরোধ করে ঝালকাঠি-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ছত্রকান্দা এলাকা থেকে নগদ ২৭লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ঝালকাঠি থানার মামলা দায়েরের প্রায় এক বছরের বেশী সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ সে টাকা উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানাগেছে।
অন্যদিকে, একই রাতে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা গ্রামের আকন বাড়ীর কৃষক মাহাবুব আকন প্রতিদিনের মতো তাঁদের গরু গোয়াল ঘরে তুলে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গরুর খাবার দিতে গোয়ালঘরে গেলে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গরু দুটি নেই দেখে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির পর না পেয়ে চুরি হয়েছে বলে নিশ্চত হয়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাড়ি থেকে গরু চুরির ঘটনায় এলাকার কৃষকসহ গৃহস্থ পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে জানায় কৃষক মাহাবুবের ভাই মিজান আকন।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/নির্ঝর