চরফ্যাশন (ভোলা), ১৫ জানুয়ারি, এবিনিউজ : দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্বাধুনিক ও সু-উচ্চ দৃষ্টিনন্দন ওয়াচ টাওয়ার “জ্যাকব টাওয়ার” উদ্বোধন হচ্ছে আাগামিকাল মঙ্গলবার। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বেলা ২টায় দৃষ্টিনন্দন এই টাওয়ারের উদ্বোধন করবেন।
২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী ২২৫ ফুট উচ্চতার ওয়াচ টাওয়ার বাংলাদেশ সরকারের জিওবি অর্থায়নে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১ একর জমিতে মাননীয় পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চরফ্যাসন পৌরসভা নির্মাণ কাজ শুরু করে।
চরফ্যাশন খাসমহল মসজিদ সংলঘœ ও শহরের প্রাণকেন্দ্র দৃষ্টিনন্দন ফ্যাসন স্কয়ারের পাশে নির্মিত সু-উচ্চ টাওয়ারটি উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিচিতিতে এই টাওয়ার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। দৃষ্টিনন্দন জ্যাকব টাওয়ারে সার্বিক পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার শামিমুজ্জামান বসু। ওয়াচ টাওয়ারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনুছ আল মামুন ট্রেডার্স ও ঢাকা সরকার স্টিল মিল।
জ্যাকব টাওয়ার পর্যটকরা নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ১৬ তলায় একই সঙ্গে ৫০ জন সহ সর্বমোট টাওয়ারে ৫০০ দর্শকরা শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে চতুর্দিকের ভূ-দৃশ্য হাই ফিকুয়েন্সিতে ভোলা ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা, চর কুকরী-মুকরী, ঢালচর, তারুয়া সৈকত, বঙ্গোপসাগর, পটুয়াখালী হাইরেজুলেশন বাইনোকুলারের মাধ্যমে সু-স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষন করতে পারবে এবং টাওয়ারে পর্যটকদের ওঠানামার জন্য আধুনিক স্বচ্ছ গ্লাসের ক্যাপসুল লিফট এর ব্যবস্থা রয়েছে। টাওয়ারের আশপাশে ভূ-দৃশ্যায়নকে দৃষ্টিনন্দন করতে ল্যান্ডস্কেপিং প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে আধুনিকায়ণ করা হয়েছে।
পরিবেশ ও পর্যটক বান্ধব জ্যাকব টাওয়ার মূলত পর্যটকদের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য নির্মিত হয়েছে। এই ওয়াচ টাওয়ারটি চরফ্যাশন তথা ভোলাকে আলাদা পরিচিতি এনে দেবে। টাওয়ারটি কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের আরো বিকাশ লাভ করবে।
দৃষ্টিনন্দন এই ওয়াচ টাওয়ারে স্বপ্নদ্রষ্টা পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি বলেন, এই ওয়াচ টাওয়ারটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আকর্ষনীয় ও সর্বাধুনিক সু-উচ্চ টাওয়ার মহামান্য রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্যটকদের জন্য এই স্থাপত্য বাংলাদেশের মানচিত্রে রচিত হবে এক নতুন অধ্যায়। ভোলা জেলাকে বহি:বিশ্বে আলাদা পরিচিতি এনে দেবে। টাওয়ারটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ ও নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হাসান জানান,জ্যাকব টাওয়ারে পর্যটকরা নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ১৬ তলায় দর্শকরা শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে চতুর্দিকের ভূদৃশ্য হাই ফিকুয়েন্সি ভোলা, চর কুকরী-মুকরী, ঢালচর, তারুয়া সৈকত, বঙ্গোপসাগর, পটুয়াখালী রেজুলেন্সে বাইনোকুলারের মাধ্যমে সু-স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষন করতে পারবে। পর্যটকদের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জনপ্রতি ১০০ টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারন করেছে।
এদিকে ওয়াচ টাওয়ার উদ্বোধনের খবরে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ওয়াচ টাওয়ার উদ্বোধনের মাধ্যমে একদিকে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাবে, পর্যটন শিল্পের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে এবং সরকারি খাতে রাজস্ব আয় বাড়বে।
এবিএন/কামরুজ্জামান/জসিম/এমসি