![ইবি শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমটি গঠন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/15/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbbbb_120771.jpg)
ইবি (কুষ্টিয়া), ১৫ জানুয়ারী, এবিনিউজ : চেক জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ সোমবার দুপুর তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতের অভিযোগে জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন। এতে গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তফা কামালকে আহবায়ক করে তিন সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর মো. আব্দুস শহীদ মিয়া ও ইংরেজী বিভাগের প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ। কমিটিকে আগামী ১৫ দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত শিক্ষক রুহুল আমিন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫লক্ষ টাকা অগ্রীম ঘুষ নেন। কিন্তু চাকরি দিতে না পেরে গৃহীত টাকা ফেরত দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। পরে ওই প্রার্থীকে চাকরি দিতে ব্যর্থ হন শিক্ষক রুহুল আমিন ।
ফলে গত বছরের ১২অক্টোবর শরিফুলকে অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় (হিসাব নং ১০৭১৫) ১৫ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন রুহুল আমিন। ওই চেকটি ৩১ অক্টোবর ব্যাংকে নিয়ে গেলে উল্লেখিত অ্যাকাউন্টে কোনো অর্থ নেই বলে জানায় ব্যাংক কতৃপক্ষ উপরন্তু চেকটি ডিজঅনার হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর শিক্ষক রুহুল আমিনকে আইনি নোটিশ পাঠায় আদালত। এরপরও টাকা পরিশোধ না করায় মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আদালতে মামলা করেন তিনি। পরবর্তীতে ওইদিন আদালত রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৬ তম সিন্ডিকেট সভায় সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ফলে তার ৩ বছরের প্রমোশন বাতিল ও ৩ বছরের ইনক্রিমেন্ট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সাথে তাকে ৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক পদ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
এবিএন/অনি আতিকুর রহমান /জসিম/তোহা