শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

চুনারুঘাটে নারী শিক্ষা জাগরণে অনন্য উদ্যোগ

চুনারুঘাটে নারী শিক্ষা জাগরণে অনন্য উদ্যোগ

হবিগঞ্জ, ১৬ জানুয়ারি, এবিনিউজ : নারী শিক্ষার জাগরন এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৪৩জন ছাত্রীর মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। গোলাপী ও নীল রংয়ের প্রতিটি সাইকেলের মূল্য ১৩ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা প্রধান অতিথি হিসেবে এ সাইকেল বিতরণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবীর সভাপতিত্বে ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের, ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান মহালদার, কাজী সাফিয়া আক্তার, সহকারি কমিশনার ভূমি তাহমিনা আক্তার, অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, আলহাজ্ব শামছুন্নাহার, হুমায়ূন কবির খান, আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু, রমিজ উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল হক, প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল, আঃ সামাদ মাস্টার।যারা সাইকেল পেয়েছেন তারা অধিকাংশ চা বাগান এবং বিদ্যালয় থেকে দুরবর্তী এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী।

জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা বলেন, ছাত্রীরা বাইসাইকেল চড়ে বিদ্যালয়ে আসার কারণে ইভটিজিং থেকে মুক্ত থাকবে এবং বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, সামাজিক নানা অবক্ষয় রোধে এসব শিক্ষার্থীরা বাইসাইকেল ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষায় এসব শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে। এটি নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক এবং জনবান্ধব উদ্যোগ। মানবিক উন্নয়নের অনন্য এই উদ্যোগের ফলে চুনারুঘাটের শিক্ষার গুণগত উন্নয়নে এর ভ’মিকা থাকবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, চুনারুঘাট উপজেলাকে শতভাগ শিক্ষিক করা এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী বছর ৫শ ছাত্রীকে বাইসাইকেল দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইজার মোহাম্মদ ফারাবি বলেন, সমাজে বৈষম্য দূর করতে এবং ঝড়ে পড়া রোধ করতে এই উদ্যোগ অনন্য। এই সাইকেলে করে যখন ছাত্রীরা যাবে তখন সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

চুনারুঘাট উপজেলার ভারত সীমান্তে অবস্থিত নালুয়া চা বাগান। পাহাড়ের দুর্গম রাস্তা এবং দারিদ্রের জন্য অনেকেই উচ্চ বিদ্যালয়ে আসতে পারে না।

উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের সিদরাতুল মুনতাহা শাকির মোহাম্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। তাকে প্রতিদিন ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আবার এই পথের অনেকটাই গ্রামের মেটো পথ। বাইসাইকেল পেয়ে তার দীর্ঘদিনের কষ্ট লাগব হবে বলে আনন্দিত।

আমু বাগানের স্মৃতি সাঁওতাল তার পিতাকে অনেকবার বায়না করেছে সাইকেল দেয়ার জন্য। তার অনেক সহপাঠী সাইকেলে স্কুলে আসে। কিন্ত চা শ্রমিক পিতার সাধ্য না থাকায় পায়ে হেটেই সে স্কুলে আসত। সাইকেল পেয়ে তার আনন্দের যেন সীমা নেই।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত