বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • গলাচিপায় স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে গৃহবধূ হাসপাতালে

গলাচিপায় স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে গৃহবধূ হাসপাতালে

গলাচিপায় স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে গৃহবধূ হাসপাতালে

পটুয়াখালী, ১৭ জানুয়ারি, এবিনিউজ : ‘যৌতুক’ এর কারনে গরিব ও নিম্নবর্তী স্বল্প আয়ের মানুষের যেন অভিসাপের এক বাস্তবিক শাস্তি। যার ফলে দেশে প্রচলিত আইন থাকলেও ‘যৌতুক লোভি’ নরপিশাচদের হাত থেকে রেহাই পায়নি, গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মোসলেম গাজীর ছেলে, সাঈদুল গাজীর গৃহবধূ মারুফা।

যৌতুক ও পরকীয়া প্রেমের বলি হতদরিদ্র জেলে পরিবারের সন্তান গৃহবধূ মারুফা, গলাচিপা উপজেলার সরকারী সাস্থ্য কেন্দ্রে ডাঃ মোঃ মোস্তফা সিকদারের অধিনে মুমূর্ষু অবস্থায় বর্তমান চিকিৎসাধীন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, যৌতুল লোভি স্বামীঃ সাঈদুলের অমানবিক নির্যাতনে দীর্ঘ বছর পার করছে। সমাজিক ও ধর্মানুশারী হওয়ায়, গৃহবধূ মারুফা স্বামীরর নির্যাতন সয্য করে আসলে, এতোটুকু সদয় হয়নি গৃহবধূ মারুফার উপর।

একই উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা নির্যাতিত হতদরিদ্র জেলে বাবুল খা, সাংবাদিকদের জানান, আমি হতদরিদ্র জেলে গ্রামগঞ্জের বাজারে রাস্তাঘাটে মাছ বিক্রি করি, মেয়ের সুৃখের জন্য, মেয়ের জামাই যখন যা চেয়েছে, আমি ধার দেনা করে, স্বর্নালংকার, মটর সাঈকেল,নগত টাকা পয়সাসহ দুইটি গরু'ও কিনে দিয়েছি। কিন্তু তার পরেও যৌতুকের লোভ কমাতে না পেরে দিনের পর দিন, বছের পর বছর, আমার মেয়ের উপর জামাই, শশুর- শাশুড়ি সহ নির্যতনের মাত্রা বারিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে অনেক মান্যগন্য ব্যক্তি শালিসি করলেও কোন কাজ হয়নি। হতদরিদ্র পরিবার মেয়ে জরিয়ে কান্না করার সময় তারা বলে, বিগত দিনে মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার সহ সব কিছু বিক্রি করে, মেয়েকে ফেলে ঢাকায় পারি জমিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করায়, স্থানীয়রা ধরে আটক করলে, সেখান থেকেও বহুটাকার বিনিময়ে ছারিয়ে আনি, তাতেও কোন সমাধান হয়নি।

ঘটনার দিন, স্বামীর পরকিয়া প্রেম ও অবৈধ সম্পর্কে, গৃহবধূ মারুফা বাধা দিলে, স্বামী,সাঈদ ও প্রেমিকা জ্যোচনার বলি হয় গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী মারুফা। ঐদিনরাতেই স্বানীর বাড়িতে হারকাপানো শীতের মধ্যে পাশবিক নির্যাতন ও বিভশ্র করে বাড়ির পিছনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে নরপিশাচ সাঈদুল ও তার পরিবার।

এ বিষয়ে নরপিশাচ ও যৌতুক লোভি স্বামী সাঈদুর গাজীর কাছে জানতে চাইলে পুর্নঘটনা অশ্বিকার করে দ্রুত সটকে পরে। চিকিৎসাবস্থায় ডাঃ মোস্তফা সিকদার বলেন, অচেতন অবস্থায় রোগী ভর্তি হয়েছেন, কি কারনে রোগী আহত হয়েছেন, তাৎক্ষনিক কেউ বলতে পারেনি, তবে, চিকিৎসা চলছে পুরোপুরিভাবে সুস্থ্য হতে সময় লাগবে এব্যাপারে গলাচিপা থানায় আইনি পরামর্শ নিলে, বিজ্ঞ আদালতে মামালা করার পরামর্শ দেন ওসি তদন্ত মোঃ সাঈদুর রহমান। বর্তমানে ভিকটিম পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে প্রতিবেদককে জানান। দেশের প্রচলিত যৌতুক আইনে ভিকটিম পরিবার ন্যায়বিচার পেয়ে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা পাবে এটাই স্থানীয় জনসাধারণে দাবী।

এবিএন/জুয়ল/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত