
কাউখালী (পিরোজপুর), ১৯ জানুয়ারি, এবিনিউজ : পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার জোলাগাতি-তালুকদারহাট সড়কের দু’টি সেতুর করুন অবস্থা বিরাজ করছে। তালুকদার হাট ও হাওলাদার হাটের সংযোগ সেতু ও নুরুজ্জামান সম্রাটের বাড়ীর সামনের লোহার পুলটির দীর্ঘ দিন ধরে অত্যান্ত ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল-মাদ্রাসা গামী শিশুসহ এলাকাবাসী। সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তালুকদার হাট ও হাওলাদার হাটের মধ্যবর্তী খালের ওপর ৪ বছর পূর্বে নির্মিত পাকা সেতুটির পিলার দেবে একটি স্প্যান ঝুলে রয়েছে।
নির্মানের দুই বছেরের মাথায় সেতুটি দেবে যায়। সেতুর ওপর সুপারি গাছ দিয়ে আলাদা সাঁকো তৈরি করে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশেই রয়েছে দক্ষিন পূর্ব শিয়ালকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় তিন শতাধিক শিশু বিদ্যালয়ে যেতে প্রতিদিন ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই এমন কথাই বললেন এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী।
ওই সড়কের ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সম্্রাটের বাড়ীর সামনে লোহার পুলটির মূল স্প্যানের বিম মরিচা ধরে ভেঙে ঝুলে পড়েছে। ওই পুলেও উপরে সুপারী গাছ দিয়ে বেধে কোন প্রকারে চলা চল করছে এলাকাবাসী। ওই দুটি সেতুর ওপর দিয়ে এলাকার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীসহ হাজার হাজার মুনুষ যাতায়াত করে। নুরুজ্জামান সম্রাট বলেন তার বাড়ীর সামনের লোহার পুলটির বিম ভেঙ্গে যাওয়ার পর সুপারি গাছ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।ওই এলাকার মো. শাহ আলম জানানা প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে পুলটি নির্মান করা হয়েছিল। বর্তমানে পুলটির যা অবস্থা বিম ভেঙ্গে গেছে। পিলারের এ্যাঙ্গেল গুলোমরিচা ধরে অকেজো হয়ে গেছে। ওপরের স্লাবগুলোর ভারসাম্য রক্ষা করার মত শক্তি পুলটি হারিয়ে ফেলেছে। যে কোন মুহুর্তে পুলটি বিধ্বস্ত হতে পারে।
এবিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী বিমল চন্দ্র বিশ্বাস জানান তালুকদার হাট তালুকদারহাট ও হাওলাদার হাটের সংযোগ সেতু পুনঃনির্মানের জন্য মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নুরুজ্জামান সম্রাটের বাড়ীর সামনের লোহার পুলটি পুনঃনির্মাণ করা সময় সাপেক্ষ। সাময়িক ভাবে মেরামত করার জরুরী বলে স্বীকার করে জানান উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবহিত করা হবে।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির বলেন তালুকদার হাটের ব্রিজের টেন্ডার শিগ্রই হবে বলে আশা করছেন। অন্য পুলটি সাময়ীক ভাবে মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিএন/সৈয়দ বশির আহম্মেদ/জসিম/তোহা