![ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/20/tangail-mbstu-misil-(1)-20._121664.jpg)
টাঙ্গাইল, ২০ জানুয়ারি, এবিনিউজ : টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পরীক্ষার অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রসাশনিক ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, মাওলানা ভঅসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার পরীক্ষার অর্ডিন্যান্স অত্যন্ত কঠিন। কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এত কঠিন অর্ডিন্যান্স নেই। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য অর্ডিন্যান্সের পরিবর্তন চান তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে অডিন্যান্সে ৯টি পরিবর্তন জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। পরিবর্তনের দাবিকৃত অডিন্যান্সগুলোর মধ্যে রয়েছে- মোট প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্টকে অর্জিত ক্রেডিট দ্বারা ভাগ করা, ব্যাকলগ সিস্টেম চালু করা, উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য জিপিএ (২.০০) করা, শিক্ষার্থীর ইচ্ছামত সময়ে ব্যাকলগ দেয়ার সুযোগ, সর্বনি¤œ তিন বার ব্যাকলগ দেবার সুযোগ, অকৃতকার্য হওয়া পরীক্ষায় কৃতকার্য সর্বমোট সিজিপিএ ৩.৮০ পেলে ডীনলিস্টে দেবার সুযোগ, বিশেষ পরীক্ষা দেবার সুযোগ এবং পরিবর্তনগুলো কার্যকর করতে হবে ২০১৩-১৪ সেশন থেকে সর্বশেষ সেশন পর্যন্ত।
এ বিষয়ে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন বলেন, অর্ডিন্যান্সের জন্য অনেক ছাত্র আজ ছাত্রত্ব হারাতে বসেছে। অর্ডিন্যান্সের জন্য গড়ে সকল বিভাগের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে। আমরা এ অর্ডিন্যান্সের পরিবর্তন চাই।
ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অন্য কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এত কঠিন অর্ডিন্যান্স নেই। কোন পরীক্ষায় ভাল ফল করলেও এক বিষয়ে খারাপ করার জন্য সকল পরীক্ষা আবার দিতে হয় এবং ছোট ভাই-বোনদের সাথে ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে হয়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
এবিএন/তারেক আহমেদ/জসিম/রাজ্জাক