![লক্ষ্মীপুরে হত দরিদ্রদের প্রকল্পে চলছে হরিলুট](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/21/lakhipur_121755.jpg)
লক্ষ্মীপুর, ২১ জানুয়ারি, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুর জেলায় হত দরিদ্রদের পূনঃর্বাসন প্রকল্পের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ হরিলুট করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, লুটপাটে সহায়কের ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন। এরা প্রকল্পের বরাদ্ধকৃত অর্থের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাজে অনিয়ম করার সুযোগ করে দিয়ে থাকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে কাজ না করেও প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখানো হয়।
অপরদিকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে করা কাজকে আবার বিভিন্ন নাম দিয়ে কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পেও দেখানো হয়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় নিয়োগ প্রাপ্ত শ্রমিকের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫শ ১৪জন। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় সর্বাধিক ৭হাজার দুইশত ৭৬ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে রামগতি উপজেলায় দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬২২জন শ্রমিক, রায়পুর উপজেলায় দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৬০৭ জন শ্রমিক, রামগঞ্জ উপজেলায় দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৩শ ৬৭ জন শ্রমিক, কমল নগর উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৪২ জন শ্রমিক। এ শ্রমিকের মুজুরী বাবদ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ১০ কোটি ৮১ লাখ ১২ হাজার টাকা।
তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, বর্তমান সরকার হত দরিদ্র শ্রমিকদের পূনঃর্বাসন করার জন্য প্রতি বছর দুই দফায় হতদরিদ্র পুনঃর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো বিশেষ করে কাঁচা রাস্তা ঘাট তৈরী মেরামত করে থাকেন। এই প্রকল্পের প্রতিটি মেয়াদ ৪০ দিন করে। যার কারণে এই প্রকল্পকে ৪০ দিনের কর্মসূচী হিসেবেও অবহিত করা হয়ে থাকে। এই প্রকল্পের শ্রমিকদের প্রতিদিনের মজুরীর পরিমাণ দৈনিক ২শ টাকা। একজন শ্রমিক ২শ টাকা মজুরীতে কি পরিমাণ কাজ করবেন তাও নির্ধারণ করা আছে। শ্রমিকরা তাদের মজুরী কার্ডে প্রতিদিন স্বাক্ষর করবেন। এবং তাদের নামে করা ব্যাংক একাউন্ট থেকে প্রতি সপ্তাহে তাদের মুজুুরীর টাকা উত্তোলন করবেন। এ জন্য নির্বাচিত শ্রমিকদের নামে করা হয়ে থাকে ১০টাকা মুলে ব্যাংক একাউন্ট। টাকা উত্তোলনের সুবিধার্থে দেওয়া হয়ে থাকে চেক বই।
সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে জানা যায়, যাদের নামে ব্যাংক একাউন্ট ও সেই একাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয় তার কিছুই জানেনা তারা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কমনা করেছেন এলাকাবাসী।
এবিএন/অ আ আবীর আকাশ/জসিম/নির্ঝর