শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

কাশিয়ানীতে নদীতে বিষ দিয়ে মৎস্য শিকার

কাশিয়ানীতে নদীতে বিষ দিয়ে মৎস্য শিকার

গোপালগঞ্জ, ২২ জানুয়ারি, এবিনিউজ : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মধুমতি নদীতে বিষ প্রয়োগ করে নির্বিচারে মাছ শিকার করছে স্থানীয়রা। বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারের ফলে মাছের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া কাকড়া, কুঁচিয়াসহ জলজপ্রাণি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। স্থানীয় প্রান্তিক জেলেদের মধ্যে মৎস্য সম্পদ নিয়ে হতাশা বাড়ছে।

এ অঞ্চলের প্রায় ২ হাজার জেলে মধুমতি নদীর মৎস্য সম্পদের উপর নির্ভরশীল। এদের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ধ্বংস করছে কতিপয় ব্যক্তিরা। জেলে নামধারী স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে নদীতে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ ধরছে। দিন দিন এ চক্রের অপতৎপরতা আশংকাজনকভাবে বাড়ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার মাঠলা, দক্ষিণ ফুকরা, কলসী ফুকরা, তারাইল, পাংখারচর ও কালনা এলাকায় মধুমতি নদীতে ফুরাডান, রোটেনার, রিটকট ইত্যাদি বিষ প্রয়োগ করে নির্বিচারে মাছ শিকার করছে জেলেরা।

হাসান মুন্সী নামে একজন মৎস্যজীবি জানান, নদীতে জোয়ারের সময় নদীতের তীরবর্তী এলাকায় গুড়া মাটির সাথে কীটনাশক মিশিয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়। মাছে ওই মাটি খেয়ে ভাটার সময় নদীর তীরে অচেতন হয়ে পড়ে থাকে।

এ ব্যাপারে পরিবেশকর্মী বিধান টিকাদার বলেন, ‘নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরায় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজপ্রাণির প্রজনন হ্রাস পাওয়ার আশংকা রয়েছে।’

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মাদ ইকবাল খান বলেন, বিষ প্রয়োগ করে ধরা মাছ বাজারে বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা তা না জেনেই কিনছেন। এ মাছ খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন কি দীর্ঘদিন এ মাছ খেলে মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকিও রয়েছে বলে তিনি জানান।

কাশিয়ানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: লুৎফর রহমান বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য শিকারের কথা স্বীকার করে বলেন, কে বা কারা কখন মাছ ধরে সে তথ্য না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।’

এবিএন/লিয়াকত হোসেন লিংকন/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত