![দেশ রক্ষায় নদী বাঁচানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/25/shekh hasina_121712_122483.jpg)
ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নদী ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, দেশ রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নদী বাঁচাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীগুলোকে বাঁচাতে সুষ্ঠু নদী ব্যবস্থাপনা আবশ্যক। দেশ রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নদী বাঁচাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর কার্যালয়ে ‘কম্প্রিহেনসিভ প্লান ফর স্টাবিলাইজেশন অব দ্য যমুনা-পদ্মা রিভার এন্ড পাইলট ইন্টারভেনশন ফর ল্যান্ড রিকেলামেশন’-এর ওপর এক মডেল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বক্তৃতা করেন। এতে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নদীগুলোর ন্যাব্যতা বৃদ্ধি- নদী থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এজন্য তিনি নদীগুলো থেকে অধিক উপকৃত হওয়ার ব্যাপারে নজর দিতে বলেন।
নদীকে দেশের জীবন প্রবাহ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, নদীর তীরে গড়ে উঠেছে সভ্যতা। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে সভ্যতার সব কিছুই গড়ে উঠেছে নদীর তীর ভূমিতে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক নদী- নৌপথ হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যের সবচেয়ে ভাল রুট। নদীগুলো থেকে লাভবান হওয়ার আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। নদীর জমি পুনরুদ্ধার হলে দেশ আরো উন্নত হবে। আমরা পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে কল-কারখানা গড়ে তুলে বসতি সম্প্রসারণ করতে পারি।
তিনি বলেন, ভূমি পুনরুদ্ধারের সুবাদে বিনিয়োগ ও কৃষি জমি বাড়বে এবং দারিদ্র্য নির্মূল হবে। এজন্য এই নদী সম্পদকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, নদী দেশের জীবন প্রবাহ হলেও নদী খনন ও ব্যবস্থাপনার অভাবে তা অনেক সময় দুর্দশা বয়ে আনে। এজন্য প্রথমে আমাদেরকে মূল ড্রেজিং এবং পরে প্রতি বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ড্রেজিং করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। স্বাধীনতার সময়ের ৭ কোটি মানুষ আজ ১৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের খাদ্য, বাসস্থান ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, খরস্রোতা ও বড় নদীগুলোর গভীরতা ধরে রাখতে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা ব্যাপক ভূমি পুনরুদ্ধার করতে পারলে একটি বাফার জোন গড়ে উঠবে। বাসস।
এবিএন/মমিন/জসিম