শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • কালের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার লাঙ্গল শিল্প

কালের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার লাঙ্গল শিল্প

কালের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার লাঙ্গল শিল্প

বাগেরহাট, ২৬ জানুয়ারি, এবিনিউজ : কালের স্রােতে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার লাঙ্গল শিল্প। আধুনিক কলের লাঙ্গলের প্রবর্তনে দিনদিন ম্লান হচ্ছে বলদের হালের লাঙ্গল। তবুও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার তিন সুদক্ষ কারিগর আজও ধরে রেখেছেন এই শিল্পকে। তারা প্রায় অর্ধশত বছর ধরে দিনরাত তৈরি করে যাচ্ছেন সেই পুরানো আমলের কাঠের লাঙ্গল-জোয়াল। আর প্রয়োজনের তাগিতে তা কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন চিতলমারীতে।

কুরমুনি গ্রামের লাঙ্গল তৈরির কারিগর রবিন বিশ্বাস (৬৫) জানান, সেই ছোট বেলায় বাবার কাছে লাঙ্গল তৈরির হাতেখড়ি দেন। আজও তৈরি করে যাচ্ছেন। কাজ করেন চিতলমারী সদর বাজারের লাঙ্গল পট্টিতে। লাঙ্গলী বাবলা গাছ দিয়ে লাঙ্গল তৈরি হয়।

আগের মত অত লাঙ্গল না চললেও এখনও বরিশালের ঝালকাঠি, পিরোজপুর, গৌরনদী, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া, মোকছেদপুর, কাশিয়ানী, খুলনার বৈঠাঘাটা, দাকোপ, ডুমুরিয়া, রুপসা, বাগেরহাটের কচুয়া, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, ফকিরহাট ও মোল্লাহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেরো মৌসুমে মানুষ ছুটে আসে লাঙ্গল কিনতে। প্রতিটি লাঙ্গল ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। লাভ মোটামুটি ভালই হয়। কিন্তু আগের মত আর সচারচর বাবলা গাছ পাওয়া যায় না।

তিনি আরও জানান, আগে চিতলমারীতে শতাধিক লাঙ্গল তৈরির কারিগর ছিল। এক প্রকার মায়ার টানে তিনি বলরাম বিশ্বাস ও খলিল শেখ আজও এ পেশা ছাড়তে পারেননি।

লাঙ্গল কিনতে আসা বিজয় বিশ্বাস, দেবু ব্রক্ষ্ম ও রাজু বিশ্বাস জানান, আশেপাশে দু’চার জেলার মধ্যে সুদক্ষ এই তিন কারিগর আজও লাঙ্গল তৈরি করছেন। মানুষ প্রয়োজনের তাগিতে তা কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন তাদের কাছে।

এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত