![চকরিয়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে রোধ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/26/ballo-bie_abnews_122672.jpg)
চকরিয়া (কক্সবাজার), ২৬ জানুয়ারি, এবিনিউজ : স্থানীয় মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী জন্নাতুল কোবরা। দরিদ্র পরিবারের এই ছাত্রীর বয়স মাত্র ১৫। হঠাৎ বিদেশ থেকে অল্প দিনের জন্য দেশে ফেরা প্রবাসী পাত্র পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে ছাত্রীর মা-বাবা। তড়িগড়ি করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে পাত্রস্থ করতে জোর প্রস্তুতি নেয়। আজ শুক্রবার ছিল ওই ছাত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠান।
স্থানীয়দের কাছ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ খবর পান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান। তিনি রাত ৯টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে পুলিশ ফোর্স সহকারে ছাত্রীর বাড়ি কৈয়ারবিলে পাঠান।
এসিল্যান্ড ছাত্রীর বাড়ি যাওয়ার পর পাত্রীর বয়স নির্ধারণ করতে ছাত্রীর বাবা দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চান। তিনি একটি নকল জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদর্শন করেন। তাতে ছাত্রীর বয়স দেখানো হয় ১৯ বছর। ওই সনদ সন্দেহ হলে জাতীয় পরিচয় পত্র চেয়েও পাননি।
ফলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের বালাম বহি ও মাদ্রাসায় জমা দেয়া জন্ম সনদ দেখে ছাত্রীর বয়স নির্ধারণ হয় ১৫ বছর। অপ্রাপ্ত বয়স্ক নির্ধারণ হওয়ার পর ছাত্রীর অভিভাবকসহ ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে ছাত্রীর বাবা দেলোয়ারের কাছ খেকে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেনা মর্মে অঙ্গিকার নেয়া হয়।
পরে বিয়ে যাতে না হয় সেজন্য মনিটরিং ও নজরদারীতে রাখতে দায়িত্ব দেয়া হয় স্থানীয় চেয়ারম্যান মক্কি ইকবালকে।
এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/এমসি