![দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/28/sunamgonj-badh_122986.jpg)
সুনামগঞ্জ, ২৮ জানুয়ারি, এবিনিউজ : দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সর্ববৃহৎ দেখারহাওর, জামখলার হাওর, কাঁচিভাঙ্গা হাওর, খাইর হাওর, পাখিমারা হাওর, বীরগাঁও দক্ষিণের হাওর, ঠাকুরভোগের হাওর, সাংহাই হাওর ও নাগডরা হাওরসহ ছোট বড় প্রায় ২৩টি হাওরে ৬০টি পিআইসি (প্রজেক্ট ই¤পপ্লিমেনটেশন কমিটি) মাধ্যমে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর তত্ত্বাবধানে ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১২টিতে বাঁধের কাজ শুরু হলেও অবশিষ্ট ৪৮ টি পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে অল্পদিনের মাঝেই বাঁধের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লি¬ষ্ট দপ্তর।
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা যায়, আগাম বন্যার কবল থেকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৬০ টি পিআইসির মাধ্যমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৬০টি পিআইসির মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে পিআইসিদের মধ্য থেকে পাথারিয়া ইউনিয়নের সাংহাইর হাওরের পশ্চিম পাশের আহমদাবাদ(আন্দাবাজ),সাংহাইর হাওরের নতুন জাহানপুর থেকে পুরান জাহানপুর পর্যন্ত,পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের খাইর হাওরের দুর্বাকান্দা,সাংহাইর হাওরের জয়সিদ্ধি,জয়কলস ইউনিয়নের পশ্চিম অংশে সাংহাইর হাওরে জামলাবাজ এলাকায় ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও দরগাপাশা ইউনিয়নের জামখলা হাওরের হরিনগর গ্রামের ব্রীজের পূর্ব পাশ হইতে ভাই-বোনের দাইড় ও সাত ডুবি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলো মিটার হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ পিআইসিদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ল্যান্ডসার্ভে টিম দেরীতে কাজ শুরু করে এবং কাজের প্রক্কলন তৈরী ও কার্যদেশ না হওয়ায় বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত পিআইসি (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেনটেশন কমিটি) কাজ শুরু করতে পারছেন না। তবে পাউবোর দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ফসল রক্ষা বাধের কাজ শেষ করা হবে।
দরগাপাশা ইউপির কাচির ভাঙ্গা হাওরের কৃষক সবুর আলী বলেন, এবছর বাঁধের কাজ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সরকার বাঁধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যদি বাঁধের কাজ তদরকি করে আশাকরি বাঁধের কাজ শতভাগ হবে। তবে আল্লাহ সহায় থাকলে এবং প্রকৃতি আমাদের অনুকূলে থাকলে সোনালী ফসল ঘরে উঠছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং নিয়মিত ভাবে বাঁধের কাজ তদারকি করা হচ্ছে। ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ একটু দেরীতে শুরু হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড অবশিষ্ট বাঁধের ল্যান্ডসার্ভে টিম কাজ শেষ হয়েছে। পিআইসি কমিটি কাজের প্রাক্কলন শেষ হয়নি। দু’একদিনের মাঝে তাদের কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে এবং কাজ শুরু হবে।
এবিএন/ অরুন চক্রবর্তী/জসিম/নির্ঝর