
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ২৯ জানুয়ারি, এবিনিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর শূণ্য আসনে উপনির্বাচন আগামী ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণার পর থেকে বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রার্থী সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে হাঁসি মুখে হাত বাড়ানোর মাত্রা বেড়ে গেছে।
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন নাসিরগর। এ আসনে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩,০৯,০১১ জন। ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৯ শত ৯৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৬ হাজার ৮ শত ৮৭ জন, নারী ভোটার ১ লক্ষ ১ হাজার ১ শত ১০ জন।
এরমাঝে সংখ্যালঘু ভোটের সংখ্যা প্রায় ৩০% বলে জানা গেছে। ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে সংখ্যালুঘুদের মন্দির ও বাড়ী ঘর ভাংচুরের ঘটনার পর বর্তমানে নাসিরনগর এখন শান্ত,তবে কমেনি রাজনৈতিক উত্তাপ। ঘটনার পর বিভক্ত হয়ে পড়েছে নাসিরনগরের আওয়াম ীলীগ।
উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এলাকায় আলোচনায় রয়েছেন প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ্যাডঃ ছাযেদুল হকের স্ত্রী দিলশাদ আরা বেগম (মিনু)। গত ২৭ জানুয়ারি রাজাকার সন্তান আর মন্দির ভাঙা মামলার চার্জশীট ভূক্ত আসামাীদের নিয়ে গণসংযোগ করে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন ওই নেত্রী।
ওই শোডাউনের পর এলাকার হিন্দুদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে বলে জানান অনেক সংখ্যালঘু নেতা। তাছাড়াও নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যন ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ,টি,এম মনিরুজ্জামান সরকার, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা এম,এ করিম, সাবেক সাংসদ সৈয়দ সাফি মাহমুদ, কুমিল্লা ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট দানবীর ও শিক্ষানুরাগী সৈয়দ এহসান। যিনি ইতি মধ্যে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন।
এলাকায় দিন দিন তার সুনাম বয়ে চলেছে। সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বি,এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্ক শাখার আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ.কে.এম আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শাখার সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবি এ্যাড. রাখেশ চন্দ্র সরকার।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় জাতীয় কৃষক পার্টির সদস্য শাহানুল করিম সেলিম মাঠ চষে বেড়ালেও জেলা জাতীয় পার্টি তার বড় ভাই রেজোওয়ান আহমদকে প্রার্থী ঘোষনা করেছেন। ইসলামী ফ্রন্ট ও জাতীয় সম্মলিত জোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক এডঃ কাজী ইসলাম উদ্দিন দুলাল। মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের প্রচার প্রচারনা ও গণ সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে উপ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করবে না বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ১৬ ডিসেম্বর এই আসনের সাংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাড. ছায়েদুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে এ আসনটি শূণ্য হয়ে পড়ে।
এবিএন/আব্দুল হান্নান/জসিম/এমসি