![বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ব্রিটিশ নারী বেকি হর্সবার্গ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/01/29/swimin-bangla-channel_123235.jpg)
ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি, এবিনিউজ : টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন (বাংলা চ্যানেল) পাড়ি দিয়েছেন ব্রিটিশ নারী বেকি হর্সবার্গ। একই সময় আরো দুই বাংলাদেশি পুরুষ পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা পারলেন না। বাংলা চ্যালেন নামে খ্যাত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গোপসাগরের ঢেউ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের শেষ স্থলভাগ হতে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন সাঁতরিয়ে পৌঁছতে একই চেষ্টা করেন তিন সাঁতারু। এরা হলেন, ব্রিটিশ নারী সাঁতারু বেকি হর্সবার্গ, বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী মুসা ইব্রাহীম ও ওয়াসিউর রহমান। তাদের মধ্যে বেকি হর্সবার্গ ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দিতে সক্ষম হন। বাকি দুজন মুসা ইব্রাহীম ও ওয়াসিউর রহমান ব্যর্থ হয়ে ট্রলারে উঠে দ্বীপে পৌঁছেন। তাদের অভিযোগ মাছের কাঁটার আঘাতে মাঝপথে সাঁতার বন্ধ করে বাধ্য হয়েই ট্রলারে উঠে পড়েন এ দু’জন।
গতকাল রবিবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে তারা শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সাঁতার শুরু করেন। এরপর ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সাঁতরে দুপুর সোয়া ২টায় সেন্টমার্টিনে পৌঁছান বেকি হর্সবার্গ। এতে সময় লাগে তার ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। তবে এক ঘণ্টা সাঁতার কাটার পর মাছের কাঁটায় আঘাতে মাঝপথে সাঁতার বন্ধ করে দেন মুসা ও ওয়াসিউর। এ টিমের দলনেতা ছিলেন মুসা। উদ্ধারকারী দলের নেতা ছিলেন এভারেস্ট একাডেমির ম্যানেজার এ ইভেন্টের আয়োজক এমরান হোসেন দুলু। তিনি বলেন, ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে বিদেশি সাঁতারু বেকি সেন্টমার্টিনে পৌঁছান। তবে পায়ে আঘাত পাওয়ায় অপর দুই সাঁতারু মাঝপথে সাঁতার বন্ধ করে দেন। পরে তাদের উদ্ধারকারী ট্রলারে উঠিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকা বেস ক্যাম্পের তিনজন সাঁতারু ফজলুল কবির, লিপটন সরকার ও সালমান সাঈদ প্রথমবারের মতো ‘বাংলা চ্যানেল’ অতিক্রম করেন। এ সময় এ টিমের গাইডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলা চ্যানেলের প্রথম পথ প্রদর্শক প্রয়াত হামিদুল হক। ব্রিটিশ নারী সাঁতারু বেকি হর্সবার্গ বলেন, ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দিতে পেরে খুবই খুশি লাগছে। বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি বাড়াতে এ ধরনের আয়োজন ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
সাঁতারু মুসা ইব্রাহীম জানান, এক ঘণ্টা সাগর পাড়ি দেওয়ার পর হঠাৎ করে মাছের কাঁটায় তার পায়ে আঘাত লাগে। ফলে চতুর্থবারের মতো ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দেওয়া হলো না তার। তবে প্রথম বারেও এ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে তাকে ট্রলারের আশ্রয় নিতে হয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও বা তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন।
এবিএন/ফরিদুজ্জামান/জসিম/এফডি