বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

দশম সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ২৮৪ দিন

দশম সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ২৮৪ দিন

ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, এবিনিউজ : জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেছেন, ‘দশম সংসদে এ পর্যন্ত কার্যদিবস হয়েছে ৩৪২দিন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন ২৮৪ দিন। আর বিল পাস হয়েছে ১৩১টি। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন ২০৪ দিন।’

সোমবার জাতীয় সংসদের চারবছর পূর্তি উপলক্ষে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

ফিরোজ বলেন, ‘বিগত নবম সংসদের কার্যদিবস ছিল ৪১৮ দিন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন ৩৩৬ দিন। আর বিএনপির চেয়ারপারসন ছিলেন মাত্র ১০ দিন।’

এসময় প্রধান হুইপ বলেন, এ চার বছরে সংসদ অনেক অর্জন করেছে। জাতিকে অনেক কিছু দিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও এ সংসদ সমৃদ্ধ হয়েছে। এ সংসদ নির্বাচনের পরে নিন্দুকেরা অনেক কিছু বলেছিল। তারা বলেছিল- ভোটারবিহীন সংসদ, এ সংসদে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই- এমন অনেক কথা বলেছিল। বিশ্বের কাছে তারা অনেক ধর্না দিয়েছে। এত কিছু পেরিয়ে আমরা সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছি সেদিন যদি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচন না হত তাহলে হয়তো অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসতো। সেই জন্য নির্বাচনের পর সারাবিশ্ব আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। আইপিইউ ও সিপিএ এর মতো দুটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমরা সিপিএ’র চেয়ারপার্সন ও আইপিইউ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পেরেছি। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল, গণতন্ত্র আছে এবং গণতন্ত্র থাকবে বলে আমরা এ দুটি জায়গা থেকে সমর্থন পেয়েছি।

তিনি বলেন, এ সংসদ কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এ সংসদে বিরোধী দল কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। তারা শুধু বিরোধিতা করেনি। বিরোধী দল সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে। বাজেট নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা যেমন সমালোচনা করেছে আমরাও সেরকম সমালোচনা করেছি।

দশম সংসদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ২৮৪ দিন

তিনি আরও বলেন, এ সংসদে জাতীয় পার্টির আসন ৪০টি। স্বতন্ত্র আসন ১৬। এ সংসদে আমাদের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে তারা সংসদে কথা বলছেন। তারা সরকারের কঠিন সমালোচনা করেছেন। আমরা তার জবাব দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রত্যেকটি কথার নোট নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

সংসদের কোরাম সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকেই পত্রিকায় লিখেন সংসদে কোরাম হয় না। সংসদে কোরাম সবসময় থাকে। মন্ত্রীরা সবসময় এ সংসদের ভেতরে তাদের অফিসে থেকে এলাকার কাজ করেন। হয়তো সংসদে এমপি সাহেবরা কম, কিন্তু তারা লবিতে থাকেন। তারা মন্ত্রীর রুমে গিয়ে এলাকার কাজ করেন। এ সংসদে তারা অছেন, তারা ছিলেন এবং আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি তারা আরো বেশি বেশি করে থাকবেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত