পটুয়াখালী, ৩০ জানুয়ারি, এবিনিউজ : দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ানের ভিবিন্ন এলাকাসহ চরাঞ্চলে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। সরজমিনে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে কৃষিজাত ফসল এবং কৃষকের উপর মারাত্নক প্রভাব পড়ার পরও ফলন ভালো হয়েছে। সঠিক সময় সঠিকভাবে সার প্রয়োগের কারণে বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের (২ হাজার হেক্টর) ফসলি জমিতে আলু চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ধার্যা করা হয়। গতকয়েক দিনের কনকনে শীকের প্রভাবে আলুর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। উপজেলার অধিকাংশ ফসলি জমি নিচু এলাকা হওয়ায় পানি জমে থাকার কারণে দেরিতে চাষাবাদ শুরু করলেও আলুর ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন আলু চাষি।
কৃষকরা জানায়, জমিকে পানি জমে থাকার কারণে দেরিতে হলেও আলুর চাষ করতে পারছি। কিন্ত জেলা বা উপজেলায় হিমাগার না থাকায় প্রতিবছরেই আলু চাষে লাভ হলেও পচঁনরোধ বা গুদামজাতের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আলু চাষের উৎসহ হারিয়ে অন্য পেষায় পারি জমিয়েছে প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণী। অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় এখনও তীব্র শীত থাকায় কৃষকরা মাঠে নামতে পারছেনা। এদিকে কৃষকরা আলুর অধিক ফলনের জন্য সময়মতো জমিতে সার প্রয়োগ করছে। আগামী ১৫ দিনের পরেই ক্ষেত থেকে আলু তুলতে পারবে বলে আশা করছে আলু চাষীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, জেলা পর্যায় প্রতিমাসি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে হিমাগার নিয়ে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ উপর মহলে আলোচনা হচ্ছে, আশা করছি, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছাবেন। এছারা আমার উপজেলার কৃষকদের সর্বদা সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি