বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

ফ্লাড বাইপাস যেন মরণফাঁদ

ফ্লাড বাইপাস যেন মরণফাঁদ

লালমনিরহাট, ৩০ জানুয়ারি, এবিনিউজ : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী নামক স্থানে অবস্থিত দেশে বৃহতম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ। ওই প্রকল্পের আওতায় দেশের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষি জমি গুলোকে ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের সুবিধায় আনা হয়েছে।

এই ব্যারাজকে বন্যার সময় পানির চাপ থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত হয়েছে ব্যারাজের পাশেই ফ্লাড বাইপাস সড়ক। যা দেখে মনে হবে, এটা ফ্লাড বাইপাস নয়, যেন মরণফাঁদ। কারণ এ বারের বন্যায় তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ওই বাঁধ কেটে দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে দোয়ানী-ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। সে সময় বাঁধটি কেটে দেয়ায় পানির তোড়ে ভাটিতে লালমনিরহাট জেলার অনেক ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট, কালভার্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়াও ফ্লাড বাইপাস ভেঙ্গে যাওয়ায় সড়কটিতে খানাখন্দ ও মাঝে মাঝে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়ে। নিয়ম অনুযায়ী বন্যার পর ফ্লাড বাইপাস সড়কটি মেরামত করা হলেও এবার রহস্য জনক কারণে এখন পর্যন্ত তা মেরামত করা হয়নি। বর্ষা মৌসূম শেষে শীতকাল এলেও ফ্লাড বাইপাস সংস্কারে আজও নজর দেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তাদের উদাসীনতার কারণে জনগনের ভোগান্তি বেড়ে চলছে। দুভোর্গের অপর নাম দোয়ানী ফ্লাড বাইপাস সড়ক অভিমত ভুক্তভোগীদের। খানাখন্দকে ভরা যোগাযোগের অনুপযোগী গুরুত্বপূর্ন এ সড়কে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল বন্দর, পাটগ্রাম, বাউরা, বড়খাতা, সানিয়াজান ও দোয়ানীর বাসিন্দাদের রংপুর চলাচলের জন্য বিশেষ করে লালমনিরহাট ও নীলফামারী যোগাযোগের সহজলভ্য এ সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে রংপুর হাসপাতালে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সহজতর হলেও কর্তৃপক্ষের খাম খেয়ালীর কারনে আজও সংস্কার হয়নি। মাইক্রোবাস, পিকআপ, এ্যাম্বুলেন্স, মাহিন্দ্র, ইজিবাইক, আটোভ্যান ও টেম্পুসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে চালকরা। প্রতিনিয়ত শিশু বৃদ্ধ ও রোগী নিয়ে এ সড়ক পথে হাজার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনাও। অনেকেই ৫০ কিলোমিটার বেশি ঘুরে লালমনিরহাট সদর ও রংপুরের কাউনিয়া হয়ে বিভাগীয় শহর রংপুর চলা চল করছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আতিয়ার রহমান বলেন, ফ্লাড বাইপাস সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী। ইহা সংস্কারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও আজও সংস্কার হয়নি।

ইতিপূর্বে সড়ক দূর্ঘটনায় আমার ইউনিয়নের খাদেম আলীর পুত্র আব্দুল হামিদ, সেকেন্দারের পুত্র আজগার আলী ও মোকছেদ আলীর পুত্র আমিনুর রহমান গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন।

দোয়ানী-ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী ও যান্ত্রিক বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শামসুজ্জোহা বলেন, ফ্লাড বাইপাস সড়কটি সংস্কারে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা হবে।

এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত