নাসিরনগরে আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠিত

নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০১ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ রোজ বুধবার বেলা ১২ ঘটিকার সময় জেলার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্দ্যোগে তৃনমূল পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সভাপতি অসীম কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক যোদ্ধাহত বীর মুক্তযোদ্ধা ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের কারা নির্যাতিন সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান বাবুল,নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ,টি,এম মনিরুজ্জামান সরকার, নাসিরনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব, কুমিল্লা ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়াম্যান ও নাসিরনগর সৈয়দ ফাতেমা আক্তার মহাবিদ্যালয়ের(প্রস্তাবিত)প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ এহসানুল হক, সাবেক সাংসদ এস,এম সাফি মাহমুদ, আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আদেশ চন্দ্র দেব, দপ্তর সম্পাদক সুজিত কুমার চক্রবর্তী,অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন গুনিয়াউক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ছামদানী পিয়ারু, বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান এ,টি, এম মোজাম্মেল হক সরকার মুকুল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নাসির উদ্দিন রানা,উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক অমর ভট্ট্রাচ্রার্য্য সুমন ও মোস্তাক আহমেদ,তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মীর মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মীর বশির আহমেদ,ফান্দাউক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ জানে আলম ভূইয়া সায়েম, র্পূবভাগ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, গোকণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা বশির উদ্দিন বাচ্চু,হরিপুর ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে নাসিরনগর। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু।

বক্তরা বলেন ২৭ জানুয়ারী ছিল আওয়ামীলীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান। ওই দিন কেন্দ্র থেকে ফোন আসে ২৭ জানুয়ারী প্রয়াত মন্ত্রী এডঃ ছায়েদুল হকের চল্লিশা। তাই সদস্য সংগ্রহ অভিযানটি বাতিল করে আজকে করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে ২৭ জানুযারী ছায়েদুল হকের চল্লিশার পরিবর্তের ওই দিন ডোল ডক্কি ও ব্র্যান্ড পার্টি দিয়ে অনুষ্টিত হয় তার স্ত্রী আলহাজ্ব দিলশাদ আরা বেগম মিনুর নির্বাচনী প্রচারনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।ওই র্সংবধনা অনুষ্ঠানে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ( বহিস্কৃতও মন্দির ভাঙ্গা মামলার র্চাজশীটভুক্ত আসামী)উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বেলায়েত (রাজাকার সন্তান) হরিপুর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ ফারুক মিয়া(বহিস্কৃতও মন্দির ভাঙ্গা মামলার র্চাজশীটভুক্ত আসামী ও রাজাকার সন্তান) চাপড়তলা ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সুরুজ আলী (বহিস্কৃত ও মন্দির ভাঙ্গা মামলার র্চাজশীটভুক্ত আসামী)যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম (রাজাকার সন্তান)কে নিয়ে করা হয়েছে এ অনুষ্ঠান।ব

ক্তরা বলেন সদস্য সংগ্রহ অভিয়ানের পরিবর্তে মন্ত্রী পত্নী আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত ও মন্দির ভাঙ্গার মামলার র্চাজশীটভুক্ত আসামী ও রাজাকার সন্তানদের নিয়ে গণসংযোগ ও র্সংবধনা অনুষ্ঠান করে। এতে উপজেলা বাসীর মনে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। হিন্দু নেতারা বলেন ৩০ অক্টোবরের ঘটনায় সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের বাড়ী ঘর মন্দিরের উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত মামলার আসামী ও তালিকাভূক্ত রাজাকার সন্তানদের নিয়ে গণসংযোগ ও র্সংবধনা অনুষ্ঠান করার কারণে এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহ শান্তি প্রিয় মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। পরে নতুন ১০ জনকে সদস্য আওয়ামীলীগের সংদস্য সংগ্রহ অভিযান উদ্ভোধন ও কয়েকজনের সদস্য পদ নবায়ন করা হয়।

এবিএন/মোঃ আব্দুল হান্নান/জসিম/নির্ঝর