
জামালপুর, ০১ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : জামালপুরের মেলান্দহের প্রেমের খেসারত দিতে এক ছাত্রকে এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনের বাংলা প্রথমপত্র পরিক্ষার কলাবাধা ভেন্যু কেন্দ্রে।
জানা গেছে, সরোলিয়া গ্রামের মৃত আলমের ছেলে শান্ত কলাবাধা হাই স্কুলের এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিল। দুই মাস আগে ওই স্কুলের নূরুল ইসলাম বারো মাস্টারের ২ মেয়ে একই সাথে প্রেমের টানে অন্য এক ছেলের সাথে পাড়ি জমায়। এতে ছাত্র শান্ত জড়িত বলে সন্দেহ করে মেয়ের পরিবার। কেননা শান্তর সাথে বারো মাস্টারের মেয়ে দিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
পরের দিন জাঙ্গালিয়ার রুবেলের তৎপরতায় শেরপুর থেকে ছোট মেয়ে দিয়াকে উদ্ধার করা হয়। প্রায় এক সপ্তাহ আগে শেরপুরের এক রাজনীতিকের হস্তক্ষেপে বড় মেয়ে তন্বিকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়। বারো মাস্টারের পরিবারের অভিযোগ, লম্পট শান্ত তার দুই মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে একজনকে শেরপুরে অন্যজনকে টাঙ্গাইলে নিয়ে যায়।
ওদিকে ছাত্র শান্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে-আগে ছোট মেয়ে শান্তর সাথে সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে শাসন করায় আমরা উভয়ই কেটে পড়ি। এরপর মেয়েরা অন্য জনের সাথে সম্পর্ক করে বেরিয়ে যাবার পরও আমার উপর সন্দেহ করেছে। কিন্তু আমার পরিক্ষার কী ত্রুটি ছিল? আমার আত্মীয়-এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা হেড স্যার সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরীর কাছে বারবার ধর্না দিলেও প্রবেশপত্র দেয়নি। এরপরও আমি পরিক্ষার হলে ইউএনও’র সাথে দেখা করতে গেলে আমাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রুবেল জানান-আমিসহ এলাকার বেশ ক’জন হেড স্যারের কাছে এসএসসি’র পরিক্ষার্থী শান্তর প্রবেশপত্রের জন্য গেছি। হেড স্যার বলেছেন-আমি শান্তকে প্রবেশপত্র দিলে বারো মাস্টার আত্মহত্যা করবে বলে হুমকী দিয়েছেন। এই জন্যই প্রবেশপত্র দেব না। এ ব্যাপারে হেড মাস্টার সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরীকে বাড়িতে নাপেয়ে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামীনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, এমন একটি খবর আমার কানে আসছে। পরিক্ষার্থীকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিব।
এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/এমসি