শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রার সংসারে জন্ম নিলো নতুন সদস্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রার সংসারে জন্ম নিলো নতুন সদস্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রার সংসারে জন্ম নিলো নতুন সদস্য

গাজীপুর, ০৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকা থেকে আনা জেব্রার সংসারে জন্ম নিলো নতুন আরো একটি শাবকের। রোববার ভোরে এ পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে ওই শাবকটির জন্ম হয়।

এ পার্কে জেব্রা শাবক জন্মের ঘটনা এটি দ্বিতীয়। এর আগে গত বছরের ১৪ মে প্রথম একটি জেব্রা শাবকের জন্ম হয়েছিল। দ্বিতীয় জন্ম নেয়া এ শাবকটি নিয়ে পার্কের এখন জেব্রার সংখ্যা ১৩ টি।

পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো: আনিসুর রহমান জানান, জেব্রা শাবকটিকে রোববার ভোরে আফ্রিকার কোর সাফারি পার্কের ভেতর দেখা যায়। মা জেব্রা নতুন শাবককে নিয়ে পৃথকস্থানে অবস্থান করছে। তার কাছাকাছি যেতে না পারায় শাবকটি পুরুষ না মাদি তা নির্ণয় করা যায় নি। তবে নতুন জন্ম নেয়া জেব্রা শাবক ও তার মা সুস্থ আছে।

তিনি বলেন, মূলত ঘাস জেব্রার প্রধান খাবার। জেব্রা ঘাস ছাড়াও লতা-পাতা খায়। তবে মা জেব্রার পুষ্টি গুণের কথা চিন্তা করে খাবারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঘাসের পাশাপাশি ছোলা, গাজর, ভুট্টা ও ভূষি খেতে দেয়া হচ্ছে। এখন শাবকটি মায়ের দুধ পান করছে। আনুমানিক এক সপ্তাহ পর থেকে শাবকটি ঘাস খেতে শুরু করবে। ঘাস খেলেও পাশাপাশি প্রায় ৭/৮মাস বয়স পর্যন্ত শাবকটি তার মায়ের দুধ পান করে থাকে।

তিনি জানান, অফ্রিকা থেকে ২০১৫ সালে এ পার্কে পাঁচটি পুরুষ এবং ছয়টি মাদী জেব্রা আনা হয়। গত বছরের মে মাসে একটি শাবকের জন্ম হয়। নতুন শাবকটি নিয়ে পার্কে জেব্রা পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা হলো ১৩। পুরুষ জেব্রা চার বছরে এবং মাদী জেব্রা তিন বছর বয়সে সাধারণত বয়োপ্রাপ্ত হয়। স্ত্রী জেব্রার গর্ভকালীন সময় সাধারণত ১২-১৩ মাস। প্রাকৃতিকভাবে জেব্রা সাধারণত ২০ বছর মতো বাঁচে। আর সংরক্ষিত এলাকায় (চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে) এদের ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার রেকর্ড রয়েছে। সংরক্ষিত এলাকায় বেশি বাঁচার কারণ এখানে পর্যপ্ত টেক কেয়ার ( খাবার এবং চিকিৎসা) দেয়া হয়।

জানা গেছে, স্তন্যপায়ী শ্রেণির ইকুইডি (ঊয়ঁরফধব) গোত্রের একটি নিরেট-খুরযুক্ত তৃণভোজী চতুষ্পদী প্রাণী। এই প্রজাতিটি ঘোড়া এবং গাধার নিকটতম প্রজাতি। এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য শরীরের সাদা-কালো ডোরা দাগ। এই ডোরার দাগগুলো প্রতিটি জেব্রার শরীরের ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এদের ঘাড়ে কেশর-সদৃশ খাড়া চুল থাকে। এদের ওজন প্রায় ৬৪০ থেকে ৭৫০ পাউন্ড এবং দেহের দৈর্ঘ্য ৬-৮ ফুট হয়। পুরুষ জেব্রা স্ত্রী জেব্রার চেয়ে কিছুটা আকারে বড় হয়। স্ত্রী জেব্রা ১ থেকে ৩ বৎসর অন্তর ১টি বাচ্চা প্রসব করে। জন্মের পর থেকে শাবকগুলো মায়ের সাথে সাথেই থাকে। তারপর ধীরে ধীরে সাবলম্বী হয়ে মায়ের সঙ্গ ত্যাগ করে। তবে সামাজিক জীব হিসাবে এরা একই পরিবারভুক্ত হয়ে বিচরণ করে। জেব্রা ঘন্টায় প্রায় ৫৫ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে।

এবিএন/আলমগীর হোসেন/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত