শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • ডির্ভোসি নারীকে ফাঁসাতে গিয়ে সোর্স ও দেবর গ্রেফতার
মামলা থেকে রক্ষা পেতে ইয়াবা নাটক

ডির্ভোসি নারীকে ফাঁসাতে গিয়ে সোর্স ও দেবর গ্রেফতার

ডির্ভোসি নারীকে ফাঁসাতে গিয়ে সোর্স ও দেবর গ্রেফতার

চকরিয়া (কক্সবাজার), ০৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : ডির্ভোসি নারী শেফায়েতুন্নেছাকে ফাঁসিয়ে মামলা থেকে রক্ষা পেতে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা বিফলে গেছে সাবেক স্বামী ও দেবরের। উল্টো মামলা আসামী হয়ে স্বামী আহমদ উল্লাহ পলাতক থাকলেও গ্রেফতার হয়েছে দেবর ইয়াবা ও আদম পাচারকারী খ্যাত শেখ এইচএম এহেসান উল্লাহও তার দোকান কর্মচারী ইয়াবা নাটকের সোর্স ওসমান গনি।

গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথা থেকে এক হাজার পিচ ইয়াবাসহ নারীসহ তিনজনকে থানায় নেয়া হয়।

গ্রেফতার হওয়া আহসান উল্লাহ মহেশখালীর মাতারবাড়ির হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি তার ভাই মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী আহমদ উল্লাহ দীর্ঘদিন পূর্বে লামা উপজেলা ফাইতং এলাকায় বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। এহেসান উল্লাহ ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। গ্রেপ্তারকৃত অপর এজাহারনামীয় আসামী ওসমান গণি এহেসান উল্লাহর দোকান কর্মচারী।

পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ৮টার দিকে ওসমান গণি নামের এক ব্যক্তি ফোনে থানায় খবর দেয় এক নারী ইয়াবা পাচার করছে। এই খবর পেয়ে থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী ও এনামুল হক পুলিশ ফোর্স নিয়ে থানায় রাস্তার মাথায় পৌছে ওই নারী ও সোর্সকে থানায় নিয়ে যায়। তাদের সাথে যায় আহাসান উল্লাহ।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, সোর্সের ভাষ্য অনুযায়ী থানায় নেয়া নারীর শরীর তল্লাশি করানো হয় মহিলা পুলিশ দিয়ে। শরীরের ইয়াবা না পেয়ে হাতে থাকা বাজারের ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া যায় এক হাজার পিচ ইয়াবা। ওই ইয়াবা নিয়ে প্রশ্ন করলে শেফায়েতুন্নেছা কোন কিছু জানেনা এবং ইয়াবা কি তাও চিনেন না বললে ঘটনা নিয়ে সন্দেহ জাগে।

তিনি আরও বলেন, পরে ঘন্টাব্যাপী সোর্স ওসমান গণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই সোর্স জানায় আহামদ উল্লাহ শেফায়েতুন্নেছাকে তালাক দিয়ে অন্য একটি নারীকে বিয়ে করে। ফলে, শেফায়েতুন্নেছা স্বামী ও দেবরসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করেন। নানাভাবে চাপ ও হুমকি-ধমকি দেয়া সত্ত্বেও মামলা প্রত্যাহার না করায় এহেসান উল্লাহ তার দোকান কর্মচারী ওসমান গণিকে দিয়ে শেফায়েতুন্নেছার বাজারের ব্যাগে ইয়াবা বড়ি দিয়ে পুলিশকে ধরিয়ে দিয়ে ফাঁসাতে চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় শেখ এইচএম এহেসান উল্লাহ ওসমান গণি ও আহামদ উল্লাহকে আসামী করে এসআই এনামুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান আরও বলেন, ইয়াবার ঘটনায় সন্দেহ জাগায় তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও এলাকায় ব্যাপক খোঁজ নিয়ে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন হয়েছে। এতে ফাঁসতে যাওয়া নারী রক্ষা পেয়েছে। আসামী হয়েছে ওই নারীকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারীরা।

আজ সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আহমদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত