শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বোদায় বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা

বোদায় বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা

বোদায় বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা

বোদা (পঞ্চগড়), ০৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : পঞ্চগড়ের বোদায় আমন ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় চাষিরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন বোরো চাষাবাদে। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন চারা রোপণ কাজে। সরজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক ও শ্রমিকরা অনেকেই কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে বীজতলার চারা তুলে জমিতে রোপণ করছেন। আবার কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাঁড় কাপানো শীত তাদের কাছেই যেন হার মেনেছে। কথা হয় উপজেলা সদর ইউনিয়নের পাহাড়ডাঙ্গা এলাকার শ্রমিক আনিছুর রহমান, মহিদুল ও আজগরের সাথে। তারা আটজনের একটি দল বেঁধে বাড়ির পাশের বীজতলা থেকে চারা তুলছেন। কাউছার বলেন, মানুষ ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

কিন্তু আমরা পরিবারের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে সাত সকালে কাজে নেমেছি। ওমর ফারুক বলেন, ঠান্ডাকে কি ভয় করলে চলবে? যদি আমরা ঠান্ডায় কাজ না করি তাহলে কৃষকরা শ্রমিক পাবেন কোথায়? উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চারা রোপণের কাজ শেষ করেছেন চাষিরা। এসব জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-২৮, ২৯, ৪৯, ৫০, ৬২, বিআর-১৫, ১৬ এবং হাইব্রিড।

কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে এবারে মোট ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়। ওই বীজতলা থেকে উৎপাদিত চারা দিয়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা সম্ভব হত। কিন্তু কোল্ড ইনজুরির কারণে প্রায় ৩০ হেক্টর বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বোরোর জমি কিছুটা কমতে পারে। তবে লক্ষ্যমাত্রায় কোন প্রভাব পড়বে না বলে কৃষি অফিসের দাবি। কারণ চাষিরা নতুন করে বীজতলায় চারা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে সহজেই ধারণা করা যায় বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান লিমন বলেন, বোরো চারা রোপণের উপযুক্ত সময় ১৫ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। এবারে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি হলেও চাষিরা শীতকে উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন আর রশিদ বলেন, চাষিরা আমন ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় বোরো চাষে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে এবারে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা শুধু অর্জিতই হবে না লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

এবিএন/লিহাজ উদ্দীন মানিক/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত