বাগেরহাট, ০৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : চলছে পাখির রাজ্যে অস্তিত্বের লড়াই। তাদের টিকে থাকাটা এখন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। উপযুক্ত আবাসস্থল ও খাদ্যের অভাবে দেশীয় প্রজাতির অনেক পাখি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় এলাকার খাল-বিল ও ডোবা-নালায় গাঙচিল, শঙ্খচিল, বাজপাখি ও নানা প্রজাতির বক পাখিসহ হরেক রকম পাখিদের আনাগোনা দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে এসব দৃশ্য চোখে পড়া খুবই বিরল। বিশেষ করে তীরন্দাজ মাছ শিকারী হিসাবে মাছরাঙা ও বাজপাখির আলাদা দক্ষতা রয়েছে। তাদের লক্ষ্য অভেদ্য। এই পটু শিকারি পাখিরা ও এখন বিলুপ্তির পথে।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয় ঘুরে দেখা গেছে, এখন আর তেমন কোন পাখির বিচরণ নেই এখানে। এক সময় এ এলাকায় পাখিদের অভয়ারণ্য হিসাবে পরিচিত ছিল। যেমন ছিলো দেশীয় প্রজাতির পাখির আনাগোনা তেমনি শীতের শুরুতে পরিযায়ী পাখির উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা নামলে দল বেঁধে পাখিদের ঘরে ফেরার সে চিত্রটি এখন আর দেখা যায়না। প্রতিকূল পরিবেশের সাথে যারা সংগ্রাম করে টিকে আছে সেসব পাখিরাও এখন হুমকির মুখে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে ফাঁদ পেতে ও বন্দুক দিয়ে কিছু অসাধু লোকজন অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে পাখি শিকার। পাশাপাশি বিষটোপ দিয়েও শিকার করা হচ্ছে এসব পাখি। এছাড়া পাখিদের আবাসস্থল ও হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এ পরিস্থিতিতে পাখিরা এখন চরম হুমকির মুখে রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাণি ও পাখি বিশেষজ্ঞ শরীফ খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এখন আর পাখিদের তেমন কোন আবাসস্থল নেই। এলাকার অধিকাংশ খাল-বিল ও ডোবা নালায় মাছের চাষ করা হচ্ছে। মুক্ত ভাবে পাখিদের বিচরণের কোন জায়গা নেই। এছাড়া ফাঁদ পেতে ও এয়ারগান দিয়ে কিছু অসাধু লোকজন অবাধে পাখি শিকার করছে। পাশাপাশি বিষটোপ দিয়েও শিকার করা হচ্ছে এসব পাখিদের। পাখিরাও আমাদের পরিবেশের একটা অংশ। তাদের অস্তিত্ব হারিয়ে গেলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।
এবিএন/এস.এস সাগর/জসিম/তোহা