![নাসিরনগর উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/05/candidates_abnews_124499.jpg)
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ০৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর শূণ্য আসনে উপ-নির্বাচন আগামী ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষনার পর থেকে বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্ঘুম রাত কাটে প্রার্থীদের। দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ।
ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছেন। ১৪ ফেব্রয়ারি বিশ^ ভালবাসা দিবসের দিনে মনোনয়ন পত্র দাখিল, ১৯ ফেব্রয়ারি শুক্রবার মনোনয়ন পত্র বাছাই, ২৩ ফেব্রয়াররি শুক্রবার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ও ১৩ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন নাসিরনগর।
এ আসনে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩,০৯,০১১ জন। ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৯শত ৯৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৬ হাজার ৮ শত ৮৭ জন, নারী ভোটার ১ লক্ষ ১ হাজার ১ শত ১০ জন। এর মাঝে সংখ্যালঘু ভোটের সংখ্যা প্রায় ৩০% বলে জানা গেছে। ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে সংখ্যালুঘুদের মন্দির ও বাড়ী ঘর ভাংচুরের ঘটনার পর বর্তমানে নাসিরনগর এখন শান্ত,তবে কমেনি রাজনৈতিক উত্তাপ।
এই আসন থেকে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন তারা হলেন প্রয়াত মন্ত্রী এ্যাড. ছায়েদুল হকের সহধর্মীনি আলহাজ¦ দিলশাদ আরা বেগম মিনু, কুমিল্লা ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ও প্রস্তাবিত নাসিরনগর সৈয়দা ফাতেমা আক্তার মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট দানবীর ও শিক্ষানুরাগী সৈয়দ এহসান। যিনি ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন।
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.টি.এম মনিরুজ্জামান সরকার, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি,সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ করিম, সাবেক সাংসদ সৈয়দ সাফি মাহমুদ, সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্ক শাখার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ.কে.এম আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শাখার সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবি এডঃ রাখেশ চন্দ্র সরকার। এছাড়াও কেন্দ্রীয় জাতীয় কৃষক পার্টির সদস্য শাহানুল করিম সেলিম মাঠ চষে বেড়ালেও জেলা জাতীয় পার্টি তার বড় ভাই রেজোওয়ান আহমদকে প্রার্থী ঘোষনা করেছেন। ইসলামী ফ্রন্ট ও জাতীয় সম্মিলিত জোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে এলাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এডঃ কাজী ইসলাম উদ্দিন দুলাল।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ অত্র আসনের সাংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মৎস্যও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এডঃ ছায়েদুল হক অসুস্থতা জনিত কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়ে পরে। উপ- নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করবে না বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের স্থানীয়, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একাধিক নেতা কর্মীর সাথে যোগাযোগ করে ও কথা বলে জানা গেছে। উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়ন দিতে ব্যর্থ হলে আসনটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাত ছাড়া হয়ে বিএনপির দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর একবার আসনটি আওয়ামীলীগের হাত ছাড়া হয়ে গেলে তা পূর্ণরুদ্ধার করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে আওয়ামী লীগের পক্ষে। কারণ অত্র আসনে বিএনপির চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিল্পপতি আর এ কে সিরামিক্সের এমডি সৈয়দ এ কে এম একরামুজ্জামান সুখন একজন প্রভাবশালী প্রার্থী।
এবিএন/আব্দুল হান্নান/জসিম/এমসি