![শূন্য কোঠায় ঝুলে আছে অশংখ্য মেধাবী কৃষিবিদ শিক্ষার্থী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/06/potuakhali@abnews_124544.jpg)
পটুয়াখালী, ০৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : অর্ধ শত'রো বেশি শূন্য কোঠা ঝুলে আছে, বাংলাদেশ কৃষি ডিপ্লোমা অগনীত মেধাবী কৃষিবিদ শিক্ষার্থীরা। পটুয়াখালী জেলা ও উপজেলায়। আর "বেকারত্বের " প্রভাবে প্রতিনিয়ত মানবেতর জীবনযাপন করছে কয়েকশত মেধাবী কৃষিবিদ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পটুয়াখালী খামারবাড়ির তথ্য অনুযায়ী, বাউফল উপজেলায় মুঞ্জুরীকৃত পদের সংখ্যা ৪৬ জন থাকলেও কর্মরত ৩১ জন, শূন্য কোঠা ১৫ জন, মির্জাগঞ্জ ১৮জনের মধ্যে ১৩ জন, শূন্য ৫ জন, গলাচিপা ৩৭ জনের মধ্যে, কর্মরত ২৩ জন্য শূন্য ১৪, রাংগাবালী ১৫ জনের মধ্যে ৫ জন, শূন্য কোঠায় ১০ জন, কলাপাড় ৩৮ জনের মধ্যে ২৪, শূন্য ১৪, দশমিনা ১৮ জনের ১৩, শূন্য ১৪ এবং দুমকি উপজেলায় ১৫ জন মুঞ্জুরীকৃত এর মধ্যে ১৫ জন মোট ৬৫ জন শূন্য কোঠার জনবল বা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ থাকলেও, আজ পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয় নি। যার ফলে প্রতিনিয়ত'ই বারছে বেকারত্বের বোঝা ।
আর এ পাহার পরিমান বোঝা টানতে না পেরে, অনেক শিক্ষিত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জীবন বাচানো জন্য স্বল্প আয়ের পথ বেছে নিয়ে, মানবেতর জীবনযাপন করছে। শুধু তাই নয়, অভাব, দারিদ্র্য আর বেকারত্ব অভিশাপে অনেকেই আবার হারীয়ে গেছে অন্ধকার জগতে। মা-বাবা, ভাই-বনের দাবী পুরুন করতে, নাপেরে, পারিজমিয়েছেন, না ফেরার দেশে।
আর এই বেকারত্বের ধারাবাহিকতায়, মানব কল্যাণে মুক্তির সংগ্রামে, নিজের অধিকার আদায়ের লক্ষে, বাংলাদেশের ছাত্র মৈত্রীর সংগঠনের বরিশালবিভাগ সহ পটুয়াখালী সহ জেলার নিয়োগ বঞ্চিত কৃষি ডিপ্লোমা কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ন কবির সহ ভোলা জেলার জাহিদ হোসেন, ঝালোকাঠির রাহাত, বাগের হাট জেলার, সম্রাট ও বরিশালবিভাগের মোঃ নাঈম হোসেন, ঢাকার কৃষিবিদ অভি, ভোলা জেলার, আতিক সুমন. জাহিদ. খুলনা জেলার মোঃ নাঈম সহ অনেকেই মুঠোফোনে জনান, সমগ্র দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার কৃষি ডিপ্লোমা কৃষিবিদ শিক্ষার্থীরা চাকুরীর অভাবে, আজ আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার্জনের যোগ্যতাসম্পন্ন সার্টিফিকেট থাকা সত্বেও, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, কৃষিবিদ শিক্ষার্থীরা আজ বঞ্চিত, নিপীড়িত, মানবেতর জীবনের বোঝার ভারে, আজ আমরা ক্লান্ত, শুধু তাই নয়, বেকারত্বের বোঝার ভারে, কৃষিবিদরা বিভিন্ন অপরাধ চক্রের সাথে জরিয়ে অনেক মা- বাবা'ই আতংকে দিন পার করছেন।
তাই বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের ১ দফা ১ দাবী পূর্বের অপরিকল্পিত নিয়োগ বাতিল করে, নতুন করে, সমগ্র দেশের কৃষিবিদের শূন্যতা পুরুন করে, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করবেন। আর তা নাহলে সমগ্র দেশে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ শিক্ষার্থীদে নিয়ে, আমাদের দাবী আদায়ের কর্মসূচী গ্রহনে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবস্থান নিবেন বলে, মুঠাফোনে জানিয়েছেন নিয়োগ বঞ্চিত কৃষিবিদ শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে খবর নিয়ে জানা জানা যায়, বাংদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন এর আস্থাভাজন ও সংগ্রামী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পটুয়াখালী জেলার সম্পাদক অনিমেষ হাওলাদার, তিনি নিয়োগ বঞ্চিত কৃষিবিদ বেকারত্ব ভাই বোনদের পাশে দারীয়ে, এক দফা এক দাবি আদায়ের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছেন বলে অনিমেষ হাওলাদার প্রতিবেদককে জানান।
তিনি আরো জানান, আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে, দেশকে কৃষি ভান্ডারে আরো বেগবানে তরুন ও মেধাবী কৃষিবিদদের কোন বিকল্প নেই। তাই বাংলাদেশ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পটুয়াখালী জেলা সহ দেশের শূন্য কোঠা পুরুনে, বর্তমান সরকারের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তিনি বেকারত্ব অভিশাভ জীবন থেকে মুক্ত করে, একটি সুন্দর, বেকার মুক্ত সমাজ উপহার দিবেন বলে, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী সংগঠন বিশ্বাস করেন।
এব্যাপারে কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর উপ-পরিচালক খামারবাড়ি পটুয়াখালী, হৃদয় শর দত্ত প্রতিবেদককে মুঠোফোনে, জানান, শূন্য কোঠা ও জনবলের অভাব আছে এটা সত্য, বর্তমানে কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর, দেশে বিভিন্ন অঞ্চলের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বদলির মাধ্যমে জনবলের অভাব পুরোন করছেন, তবে, দেশের কৃষি ভান্ডার আরো উন্নত করতে শূন্য কোঠা পুরোনে কোন বিকল্পন নেই।
এবিএন/মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/নির্ঝর