বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • ‘পর্যটন শিল্পের প্রসারে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি’

‘পর্যটন শিল্পের প্রসারে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি’

‘পর্যটন শিল্পের প্রসারে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি’
ফাইল ছবি

ঢাকা, ০৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যটন শিল্পকে অর্থনৈতিক খাত হিসেবে বিবেচনা করে এ শিল্পের প্রসারে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। পর্যটন অনেক বড় একটি ক্ষেত্র, যেখানে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) ভুক্ত দেশগুলোর পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রীদের ১০ম সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়বে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এ সম্মেলন ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে এ খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্ঞান হস্তান্তর, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালনকালে ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ তৈরিতে দৃষ্টান্তমূলক কিছু অর্জন করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করে এ সম্মেলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করছি।’

এ সময় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভাতৃত্ববোধ আরও বাড়িয়ে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে উদ্বাস্তু সমস্যা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে অত্যাচার নির্যাতনে বিতাড়িত হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থন নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা শুধু মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু এ সমস্যা মিয়ানমারের। এটা তাদেরই সমাধান করতে হবে।

রোহিঙ্গাদের জন্য যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন মুসলিম দেশের সঙ্গে ভাতৃত্ব স্থাপন, ন্যায়বিচার ও একাগ্রতা স্থাপন করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।

সম্মেলনে উপস্থিত বিদেশি অতিথিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দেখার মতো অনেক কিছই আছে। আমাদের আছে কক্সবাজার, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, আছে সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিলেটের চা বাগান, চট্র্রগ্রামের পাহাড় পর্বতসহ অনেক কিছু। আপনারা ঢাকায় এসেছেন এসব উপভোগ করবেন। আপনাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা করা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পর্যটকরা এ দেশে এসে যেন ভালোভাবে যাতায়াত করতে পার সেজন্য পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পর্যটনের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বলে ১৯৭২ সালে পর্যটন করপোরেশন স্থাপন করে গেছেন।

মিনিস্টার্স সম্মেলনের নবম সভাপতিকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সব সদস্য দেশ বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে আত্মউন্নয়নের দিকনির্দেশনা পাবে।’

২০১৫ সালের ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে অনুষ্ঠিত হয় ওআইসির সদস্য দেশগুলোর পর্যটনমন্ত্রীদের নবম সম্মেলন। সেই সময় সর্বসম্মতভাবে দশম সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। আগামীকাল বুধবার এ সম্মেলন শেষ হবে।

এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত