
রাজবাড়ী, ০৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ :রাজবাড়ীর সদও উপজেলার মিজানপুর ইউনয়িনের সোনাকান্দর জনবসতী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধেঁর মধ্যে জোরপুর্বক বালুর চাতাল করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
রাজবাড়ী শহরের পাশেই মিজানপুর ইউনিয়ন পৌর এলকার সাথে অনেকটা গা গেসো সোনাকান্দর গ্রামটি এখানে ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটি বালুর চাতাল গড়ে উঠেছে যার কারনে এলাকার মানুষ রয়েছে চরম দূর্ভোগে। এর মধ্যে আরো একটি নতুন বালুর চাতাল করার জন্য জনবসতী এলকায় মেহগনী বাগ সহ গাছ পালা কেটে চাতাল করার প্রস্ততী নিচ্ছেন বালু বাব্যসায়ীরা। গ্রামবাসী ইতি মধ্যেই সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলেছেন। যথাযত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আমরা এই মর্মে আবেদন করছি যে, সোনাকান্দরর মনির দোকান এর পাশে মোঃ ইউসুফ ফকির, পিতাঃ লোকমান ফকির, গ্রামঃ সোনাকান্দর সে আমাদের বাড়ীর পাশে বাঁধের ভেতরে বাগানের ভেতর জোরপূর্বক বালি ফেলার চেষ্টা করিতেছে। বালি ফেলার চারপাশে আমাদের বসত বাড়ী রহিয়াছে। উক্ত স্থানে বালি ফেললে আমাদের বসবাসের সমস্যার সৃষ্টি হবে। আমরা নিষেধ করার পরেও সে আমাদের কথা অমান্য করে বালি ফেলার চেষ্টা করিতেছে। অতএব, জনাব সমীপে আকুল আবেদন সরজমিনে তদন্ত পূর্বক আমাদের বসতবাড়ীর পাশে বালি ফেলা বন্ধ করার যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন আপনার একান্ত মর্জি হয়য়। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমানকে দায়ীত্ব দেন।
সাত্তার মন্ডল, মরর্জিনা বেগম মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে এসে বালুর চাতালের মালিকের পক্ষ নিয়ে উল্টা অভিযোগকারীদের বলেছেন এখানে বালুর চাতাল হলে তোমাদের কোন অসুবিধা হবে না যদি হয় আমাকে বলো আমি দেখবো।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান, বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বালুর চাতালের স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দু পক্ষের সাথে কথা বলেছি তবে আমি কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি, বুধবার নির্বাহী অফিসারের কাছে দু-পক্ষের কথা তুলে ধরবো তিনি যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নিবেন।
এবিএন/ খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/নির্ঝর