শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • জয়পুরহাটে এ বছর আলুর বাম্পার ফলনের আশা, খুশী আলু চাষীরা

জয়পুরহাটে এ বছর আলুর বাম্পার ফলনের আশা, খুশী আলু চাষীরা

জয়পুরহাটে এ বছর আলুর বাম্পার ফলনের আশা, খুশী আলু চাষীরা

জয়পুরহাট, ০৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা জয়পুরহাটে এ বছর আলুর ফলন ভাল হওয়ায় উৎপাদন হবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অনেক বেশী। আর গত কয়েক বছরের তুলনায় বাজার মুল্য ভাল পাওয়ায় এবার লাভের মুখ দেখছেন আলু চাষীরা। তাদের মুখে এখন খুশির ঝিলিক। উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘায় এবার আলু চাষে তারা লাভ করছেন ৭ থেকে ১২ হাজার টাকা। বাজার মুল্য এমন ভাল পেলে আলু চাষের এ ধারা আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগ। জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলায় এবার বিভিন্ন জাতের আলুর চাষ করা হয় ৩৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যেই জমি থেকে আলু উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে কৃষকরা।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার মীরগ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী জানান, জমি থেকে ইতিমধ্যেই গ্রানুলা জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছেন তিনি। তার প্রতিবিঘা জমিতে আলুর ফলন হয়েছে ৭০ থেকে ১০০ মন। এমন ভাল ফলন অন্যদিকে এবার আলুর বাজার মুল্য বেশী পাওয়ায় জেলার আলুচাষীরা বেশ খুশি বলে জানালেন তিনি। একই উপজেলার পলিকাদোয়া গ্রামের আলুচাষী কুদরত আলী জানান, প্রতিবিঘা জমিতে সার, ঔষধ, শ্রমিক সহ আলু চাষে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে বর্তমানে বাজারে আলুর মুল্য মন প্রতি প্রকার ভেদে ৩০০টাকা থেকে ৪০০টাকা হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন তারা।

এদিকে সদর উপজেলার আলুচাষী কাদোয়া গ্রামের মোসলেম উদ্দীন জানান, গত কয়েক মৌসুমের চেয়ে এবার আলুর বাজার মুল্য ভাল। আর এমন বাজার মুল্য ভাল হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বিঘা জমিতে খরচ বাদে লাভ করছেন ৭ হাজার থেকে ১২হাজার টাকা। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায় জানান, কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক তদারকির পাশাপাশি এবার শীত বেশী হওয়ায় আবহাওয়া ছিল আলু চাষের অনুকুলে। সে কারণে জেলায় আলুর ফলন হয়েছে বেশ ভাল। কাজেই জেলায় এ বছর আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮লাখ ৬৪হাজার মেট্রিকটন ধরা হলেও উৎপাদন হবে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিকটন। এমন ভাল ফলন আর দাম বেশী থাকলে আগামীতে জেলায় আলু চাষের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি।

কৃষকের উৎপাদতি এই আলু সময় মতো হিমাগারে সংরক্ষণ আর বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হলে আগামী বছর গুলোতে আরও বেশি পরিমান জমিতে আলু চাষে ঝুঁকে পড়বে এখানকার কৃষকরা, এমনটিই মনে করছেন জেলার আলু চাষীরা।

এবিএন/এরশাদুল বারী তুষার/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত