![গলাচিপায় প্রভাব খাটিয়ে নদীতে নিষিদ্ধ বাধা জাল!](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/07/abnews-24.bbbbbbbbbbbbb_124781.jpg)
পটুয়াখালী, ০৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : কাগজ কলমে মৎস্য আইন থাকলেও। ক্ষমতার প্রভাব ও মৎস্য অফিসের যোগসাজশের অদৃশ্য চাদরে বাস্তবায়ন নেই। যার ফলে প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নদী সাগরে প্রাকৃতিক রুপালী মৎস্য সম্পদ। সরজমিন পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বন্দর, পাতাবুনিয়া বদনাতলী, পানপট্রি সহ বিভিন্ন স্থানে সরকারী নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও রাক্ষুসে বাধা জাল দিয়ে কোটি কোটি ইলিশ মাছারে পোনা সহ বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ ধরে ধ্বংস করছে অসাধুপায়ী জলদূশ্যরা। এর ফলে বর্তমান হুমকির পথে বলে জানিয়েছে অর্ধশত ইলিশ জেলে। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, গলাচিপা মৎস্য অফিসের এমএলএসএস সুধাংশু তিনি, উপজেলার প্রত্যেক নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও বাধা জাল দিয়ে, মাসহারা নিয়ে অবৈধকে বৈধ করে দিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, তার মাসহারা চাদার সিমা রেখার পরিধি, সুদুর নলুয়াবাগী পর্যন্ত বিসৃত। দক্ষিন রনগোপালদীর স্থানীয় কবির হাওলাদর, ওহাব মোরল, ইব্রাহীম মুন্সী, আলোম হাওলাদার, হাবিব হাওলাদার, শাহীন হাওলাদর, মোঃ শাহ আলম গাজী, মোঃ মজিবুর মীর, ফারুক প্যাদা সহ প্রায় অর্ধ শত ইলিশ সাবার জেলেরা সাংবাদিকদের জানায়, আমরা দেশের প্রচলিত মৎস্য আইনকে সম্মান করেই, অবরোধ সহ জাটকা ইলিশ রক্ষা করি। কিন্তু মৎস্য অফিস ও প্রসাশনের যোগসাজশে দিন দুপুরে মাছ ব্যবসায়ী সায়েম হাওলাদার, সুমন ও মন্নান হাওলাদার কে দিয়ে নদীতে নিষিদ্ধ বাধা জাল পেতে এতো বড় অপরাধ করছে উপজেলা মৎস্য অফিস। কিন্তু আমরা সাধারন জেলেরা এর প্রতিবাদ করলে, আমাদের নানান ভাবে হুমকি দিচ্চে।
তারা আরো জানায়, এ ভাবে বাধা জাল দিয়ে নদীতে পনো মাছ ধরাতে, নদীতে কোন মাছ পাইনা, আজ আমরা মানবেতর জীবনযাপন করে সংগ্রাম করে কোন ভাবে বেচে আছি, এ ভাবেই বলছিলো হতভাগা নদী পারের জেলে সম্প্রদয়। এ বিষয়ে গলাচিপা সিনিয়র উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি তার উর্ধতন কর্মকর্তার কথা বলে দায়শারা জবাব দেন। দেশের রুপালী সম্পৎ "ইলিশ" রক্ষায় কর্তৃপক্ষের দেশ প্রেম জেগে উঠবে এটাই জনসাধারণের প্রত্যাশা।
এবিএন/জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/তোহা