![দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ ফেরীঘাট এখন মরণ ফাঁদ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/07/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbbbbb_124796.jpg)
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা), ০৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ব্যস্ততম বিরিশিরি-শিবগঞ্জ নদীর ঘাটে একমাত্র ফেরীঘাট পারাপারের সু-ব্যবস্থা না থাকায় এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, নদী পারাপারের একটি মাত্র নৌকাই ভরসা। এই ফেরীঘাট পার হয়ে যেতে হয় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট উপজেলার রনসিংহপুর, কলসিন্দুর, পোড়াকান্দুলিয়া, চারুয়াপাড়া, ফুলপুর, গোয়াতলা নামক বড় বড় বাজার ও এলাকায়। এছাড়া দুর্গাপুরের নান্দনিক পর্যটন এলাকা রানীখং, মনসাপাড়া মিশন সহ বিজয়পুড়ের সাদামাটির পাহাড়। ভ্রমন পিয়াসু মানুষ শুকনো মৌসুমে প্রতিনিয়ত ভীর জমায় অত্রএলাকায়। এছাড়া সরকারী ছুটির দিনে লোক জনের সবাগম ঘটে বেশি থাকলেও পাড়াপাড়ের জন্য অতিরিক্ত নৌকার কোন ব্যবস্থা থাকে না।
এ ফেরীঘাট দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার পথযাত্রী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ, পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করে থাকেন। এই ঘাটে সার্বক্ষনিক একটি খেয়ানৌকা চলাচল করায় ও কোন যাত্রী ছাউনী না থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজেই পার হতে হয় সাধারণ মানুষের। শিবগঞ্জ বাজার ঘাটে যানবাহন উঠানামা করার জন্য, ঘাটের সিড়ির দুই পাশের খুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। যাত্রী উঠানামার কারনে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা, ট্রলি, মটর সাইকেল, অটো রিক্সা ও ঠেলাগাড়ি চলাচলের সংখ্যাও এ ঘাটে কম নয়। অপরদিকে জারিয়া-ঝাঞ্জাইল রেল ষ্টেশন, বিরিশিরি বাসষ্ট্যান্ড থেকে প্রচুর মালামাল আসে এই ঘাট দিয়েই। রাজনৈতিক বড় বড় নেতা, সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, এমপি, মন্ত্রী, সচিব গন এ ঘাট দিয়ে চলাচল করলেও এ যেন কারো চোখেই পড়ছে না।
এ ব্যপারে দুর্গাপুর পৌর মেয়র হাজী মোঃ আব্দুস ছালাম বলেন, প্রায় ৫০ বছরের পুরাতন এ ঘাটটি একটি ব্যস্ততম ফেরীঘাট। বর্তমানে এর সংস্কার সহ একটি সেতু নির্মাণ মানুষের সময়ের দাবী। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি ছবি বিশ্বাস যুগান্তর কে বলেন, এ ঘাট দিয়ে মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ আমি নিজেও দেখেছি। এখান দিয়ে সেতু নির্মান সরকারের পরিকল্পনাতেও রয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের পুর্বেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিএন/তোবারক হোসেন খোকন/জসিম/তোহা