![যুক্তিতর্ক পর্যায়ে রয়েছে গ্রেনেড হামলা মামলার রায়: প্রধানমন্ত্রী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/07/pm-perliament1-abn_123592_124809.jpg)
ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি বর্তমানে রায় প্রদানের পূর্ববর্তী ধাপ অর্থাৎ যুক্তিতর্ক পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য বেগম নাজিমা ফেরদৌসীর এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ভয়াবহতম নিষ্ঠুর হামলা।
শেখ হাসিনা বলেন, সে সময়ের ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিল। এ হামলায় মহিলা লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আহত শত শত দলীয় নেতা-কর্মী দুঃসহ সেই স্মৃতি আজও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫২ জন আসামীর মধ্যে ১৮ জন আসামীর যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। বাকি আসামীদের যুক্তিতর্ক শেষ হলেই এ মামলার রায় প্রদানের জন্য দিন ধার্য হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার একজন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই মোঃ তাজউদ্দিন এ মামলার অন্যতম আসামী। গ্রেনেড হামলা চলাকালে টিয়ার সেল ছুঁড়ে হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড হামলার পরে যখন জানতে পারে যে, ‘আমি বেঁচে আছি, তখন সেই রাতেই তাজউদ্দিনসহ আরও কয়েকজনকে দেশ থেকে বিদেশে যাবার সুযোগ করে দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, যেখানে গ্রেনেড হামলা হয় সে স্থানের সকল আলামত পরদিনই সরিয়ে ফেলা হয় ও রাস্তা ধুয়ে ফেলে অন্যান্য আলামতও নষ্ট করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গ্রেনেড হামলা মামলার প্রকৃত আসামীদের আড়াল করার জন্য তথাকথিত জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে চার্জশিট দাখিল করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে জানা যায় জজ মিয়াকে এই নাটকে অংশ নেয়ার জন্য তাকে বেশ কিছুদিন মাসিক ভাতাও প্রদান করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে যেনতেনভাবে তদন্ত সম্পন্ন করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল আসামীদের অন্তর্ভুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করে এবং ২০১৪ সাল থেকে আরও ১৬৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এভাবে ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে মামলাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি