
ঠাকুরগাঁও, ০৮ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা। ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল রাতোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমি আক্তার মোটরসাইকেল যোগে বাবার সাথে এসএসসি পরীক্ষা দিতে বের হয়।
নেকমরদ কলেজ সংলগ্ন গরগাও জোড়া ব্রিজের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা পাওয়ার ট্রিলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় বাবা ও মেয়ে। এতে সুমির বাবা আঃ রহিম (৪৭) গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয় লোকজন সুমির বাবাকে বেগতিক অবস্থায় উদ্ধার করে নেকমরদ বাজারে নিয়ে আসলে সেখানে তাকে ডা. আলতাব হোসেন মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পথচারীরা বাবার মৃত্যুর কথা বুঝতে না দিয়ে চিকিৎসার অজুহাত দেখিয়ে সুমিকে কৌশলে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। তার রোল নম্বর ৬৭৩৯৫৫। ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা শেষে সুমিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাসায় পৌঁছে দেন। ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক মৃতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
নিহত আঃ রহিম উপজেলার গরগাও গ্রামের মৃত উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের আটকোরা গ্রামের থেবদেরু মোহাম্মদের ছেলে।
উল্লেখ্য, ১লা ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলায় তোফাজ্জল হোসেন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাড়িতে লাশ রেখে মেয়ে তাহমিনা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে একই জেলার সালথা উপজেলায় ৫ই ফেব্রুয়ারী এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের মা সন্তান প্রসবকালে হাসপাতালে মারা যান। সকাল ৮টায় মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে সুমাইয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
এবিএন/রবিউল এহসান রিপন/জসিম/রাজ্জাক