
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা), ১০ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বছরের শুরুতেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সরকার বিনামূল্যে বই প্রদান করার সুবাদে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী মোটা অঙ্কের কমিশনের লোভে স্থানীয় লাইব্রেরীর সহায়তায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে নোট ও গাইড বই গুলো পাঠ্য করে থাকেন। এ বিষয়ে আজ শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, শহরের বেশ কিছু দোকানে এনসিটিবি’র অনুমোদন ব্যতিত পাঠ্য তালিকায় অন্য কোন বই ব্যবহার করা যাবে না মর্মে নিষেধাজ্ঞা ধাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে এসব নোট গাইড বই বিক্রি করছে । জানাগেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ফাহাদ প্রকাশনীর কাছ থেকে ১০লক্ষ টাকা সন্মানী নিয়ে নির্ধারিত নোট ও গাইড বই গুলো পাঠ্য করেছে।
পরবর্তিতে শিক্ষকগন ঐ প্রকাশনির নোট গাইড কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করতে যার য়লে উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা গাইড বই আর কোর্চিং নির্ভর হয়ে পড়েছে। পৌরশহরের বিভিন্ন লাইব্রেরী গুলোতে অনুপম, লেকচার, পাঞ্জেরী, ফুলকুড়ি, ফাহাদ, জননী, জুপিটার সহ বিভিন্ন প্রকাশনীর নোট গাইড বই পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষকদের কমিশন দেয়ার ফলে নোট ও গাইডের দাম আগের তুলনায় বেড়ে গেছে বলেও ধারনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ও গাইড বইয়ের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে ২০১০ সালে চালু করা হয় সৃজনশীল পদ্ধতি। সেই সাথে নির্ষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের নোট ও গাইড। কিন্তু উপজেলায় সৃজনশীল মেধা সম্পন্ন পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় কোচিং ও গাইড নির্ভর হয়ে পড়ছেন বলে মনে করছেন সচেতন অবিভাবকগন।
বই প্রকাশ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষক সমিতির সভায় সকল শিক্ষকদের সমন্বয়ে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে ফাহাদ প্রকাশণীর বই পাঠ্য করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফা আখতার বলেন, এনসিটিবি কর্তৃক অনুমোদন ব্যতিত কোন নোট, গাইড ও সহায়ক, কোন গ্রামার ব্যবহার বা অন্যকোন পাঠ্য পুস্তক পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা যাবেনা। এ বিষয়ে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার মান উন্নয়নে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসায় একটি উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিএন/তোবারক হোসেন খোকন/জসিম/তোহা