
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল), ১৩ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্ন দেখার চেষ্টায় পরীক্ষা দেয়া হলো না চার পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগেই এদেরকে চলমান এসএসসি পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে একজনকে।
আজ মঙ্গলবার ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরের মাঠে এই ঘটনা ঘটে। আটক সিজেন খান ওরফে আব্দুল কাইয়ুম ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও উপজেলার অর্জুনা গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে। এসময় প্রশ্নফাঁসের মুলহোতা পাপ্পু চালিয়ে যায়। বহিস্কৃতরা হলো বৃষ্টি খাতুন, পাররিফা বিনতে ফারুক, রাজিয়া খানম ও নোভিয়া।
জানা যায়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অন্যান্য বিষয়ের মতো পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়েরও এমসিকিউ পরীক্ষার প্রশ্ন আগেভাগেই চলে আসে সামাজিক মাধ্যমে। ফাঁস হওয়া ওই প্রশ্ন ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও উপজেলার অর্জুনা গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে সিজেন খান ওরফে আব্দুল কাইয়ুম ও পাপ্পু ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরের মাঠে বৃষ্টি খাতুন, পাররিফা বিনতে ফারুক, রাজিয়া খানম ও নোভিয়া নামে চার পরীক্ষার্থীকে মোবাইলে দেখাচ্ছিলো।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ আহম্মেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই চার শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেন। সিজেন খান ওরফে আব্দুল কাইয়ুমকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় পাপ্পু।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ আহম্মেদ জানান, ভূঞাপুর পাইলট সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে কয়েকজন শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ না করে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন দেখছিল।
এমন সময় সেখানে উপস্থিত হলে প্রশ্নফাঁসের মুলহোতা পাপ্পু পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় ৪জন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়। পরে বহিরাগত ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সিজেন খান ওরফে আব্দুল কাইয়ুমকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। এর আগে ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় শহীদুল ও স্বাধীন নামের দুই শিক্ষককে আটক করা হয়। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছেন।
এবিএন/কামাল হোসাইন/জসিম/রাজ্জাক