![ফরিদপুরের বারি গম-৩৩ ক্ষমতা পর্যবেক্ষণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/15/faridpur-gom-p_125964.jpg)
ফরিদপুর, ১৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মহেশ্বরদী গ্রামে গত বছর গম ক্ষেতে ব্যাপক আকারে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয় এবং চাষীরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর সে কারনেই চলতি বছর ঐ এলাকায় গবেষণামূলক কাজ করেন এবং চাষীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ইউএসএআইডি এর আর্থিক সহায়তায়, সিমিট-বাংলাদেশ, কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সষ্টিটিউট ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এসডিসি’র যৌথ উদ্যোগে গতকাল বুধবার বিকেলে গমের নতুন জাতের ব্লাস্ট রোগের প্রতিরোধক ক্ষমতা (বারি গম-৩৩) পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা- এর উপর কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিমিট-বাংলাদেশ, ফরিদপুর হাব এর কো-অর্ডিনেটর ডক্টর দীনবন্ধু পন্ডিত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চেিলর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কিংকর চন্দ্র দাস। সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর সগরি-বারি’র পিএসও ডক্টর মো. মহি উদ্দিন, ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এসডিসি’র নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
সমাবেশে চাষীদের মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে গমের নতুন জাতের ব্লাস্ট রোগের প্রতিরোধী ক্ষমতা পরীক্ষা সরেজমিনে দেখানো হয়। বক্তারা বলেন বারি গম- ৩৩ ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত। বারি গম-৩৩ অন্য জাতের চেয়ে ফলনও বেশী হবে এবং সময়ও কম লাগবে। ফলে কৃষক লাভবান হবে। এছাড়াও উচ্চ ফলনশীল বারি গম-৩০ ও বারি গম- ৩২ ব্লাস্ট রোগ সহনশীল জাত। এই জাতও অন্যান্য জাতের চেয়ে ফলন বেশী হবে এবং কম সময়ে ঘরে তুলতে পারবে চাষীরা।
এবিএন/কে. এম. রুবেল/জসিম/নির্ঝর