![ডোমারে মুখ থুবরে পরেছে ভোগডাবুড়ী ইউপির কার্যক্রম](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/15/nilpamari_abnews24 copy_126043.jpg)
নীলফামারী, ১৫ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. একরামুল হকের বিরুদ্ধে গতমাসে ১১ জন ইউপি সদস্য/সদস্যা অনাস্থা প্রস্তাব দাখিলের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদটি দীর্ঘদিন থেকে ইউপি সদস্য বিহীন হয়ে পড়েছে। ইউপি সদস্যরা পরিষদে না যাওয়ায় কারনে ভুক্তভোগী মানুষ ইউপির কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।ইউপি সদস্যরা জানান, অভিযোগ করার পরেও সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় আমরা অনুপস্থিত থাকছি ফলে পরিষদটি বেহাল অবস্থার পরিনত হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ভোগডাবুরী ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্নসাৎ ও ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ১১ জন ইউপির সদস্য/সদস্যা গত ২৩/০১/২০১৮ তারিখে জেলা প্রশাসকের নিকট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করে। উক্ত তারিখ থেকে পরিষদের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন ইউপি সদস্যরা।ইউপি সদস্যরা জানান, সুবিধা ভোগী জনগণ পরিষদে গিয়ে তাদের নির্বাচিত সদস্য/সদস্যাদের না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসছে। ইউপি সদস্যরা না থাকায় এই পরিষদটি চেয়ারম্যান,একজন ইউপি সদস্য, সচিব, গ্রাম্য পুলিশ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
জানা গেছে, ইউপিতে প্রায় দেড় বছর থেকে গ্রাম্য আদালতও বন্ধ রয়েছে। যার ফলে ভোগডাবুরীর সাধারণ মানুষ গ্রাম্য আদালতের বিচার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে এক ইউপি সদসস্যের গায়ে হাত তুলতে যায়। আমাদের দায়েরকৃত অভিযোগ ও লাঞ্চিত করার সু-বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা পরিষদে যাব না।
ভোগডাবুরী ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। টাকা আত্বসাতের প্রশ্নই আসেনা। ইউপি সদস্যরা পালাক্রমে পরিষদে আসেন এবং জন্ম নিবন্ধন স্বাক্ষর করছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এবিএন/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/তোহা