ঝিনাইদহ, ১৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : বাবা হাসানুজ্জামানের কি অসুখ হয়েছে তা জানে না পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ুয়া অবুঝ শিশু হাবিবা খাতুন ও ছেলে মো. রাজিত। পাড়া প্রতিবেশিদের কাছ থেকে শুধু এটুকুই শুনেছে বাবার যে রোগ হয়েছে তাতে তিনি আর বেশি দিন বাঁচবেন না। এই ভেবে দুই ভাই বোন বিছানায় শয্যাশায়ী পিতা হাসানুজ্জামানের পাশেই সময় কাটায়। মুখে হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাসা করে আব্বা তুমি নাকি আর বাঁচবা না। অবুঝ সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে হাসান কেবলই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।
হাসানুজ্জামান ঝিনাইদহের কোটাচঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের ধোপাবিলা গ্রামের স্কুল পাড়ার গওসার বিশ্বাসের ছেলে। স্ত্রী রেশমা খাতুন জানান, দুই মাস আগে শেষ সম্বল মাঠের জমি বিক্রি ও আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার করে ৫ লাখ টাকা ব্যায় করে সৌদি আরবে যায় হাসান। সেখানে তার রক্তে ভাইরাস ধরা পড়লে মালিক তাকে দেশে পাঠিয়ে দেন। ২২ দিন আগে বাড়ি ফিরে দিন দিন শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তার স্বামী।
নিরুপায় হয়ে এক সপ্তাহ আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশষেজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ কাজী মনিসউর রহমানের শরণাপন্ন হন । তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভারতে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ডাক্তারদের ধারণা হাসান হোপাটাইসিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে চিকিৎসা করালে এখনো নিরাময় পর্যায়ে। কিন্তু ভারতে যাওয়ার কোন অর্থ তাদের নেই। আত্মীয় স্বজনদের কাছেও লজ্জায় আর হাত পাততে পারছেন না হাসান।
এক লক্ষ (০১) টাকার আর্থিক সাহায্য পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পারতেন বলে জানান হাসানের স্ত্রী রেশমা। অবশিষ্ট কোন জায়গা জমিও নেই যে তাই বিক্রি করে চিকিৎসা নিবেন। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন হাসান। কেও আর্থিক সহায়তা ও ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করতে চাইলে তার বিকাশ মোবাইল নং ০১৭২০-৯৪৩৯৩৭।
এবিএন/যবনিকা/জসিম/তোহা