![চকরিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2018/02/16/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbbbbb_111744_126214.jpg)
চকরিয়া (চট্টগ্রাম), ১৬ ফেব্রুয়ারি, এবিনিউজ : প্রেম করে বিয়ের ৬মাস পর রহস্যজনক কারনে মারা গেছে গৃহবধূ কান্তা বড়ুয়া (১৯)। ঘরের বীমের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে দাবী করলেও পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের পর ডাক্তারী রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এছাড়া পুলিশকে অবহিত না করেই শ্বশুরালয়ের লোকজন ওই গৃহবধূকে কথিত ফাঁস খাওয়া অবস্থা থেকে নামানোয় মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া এলাকায় গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকার লোকজন জানায়, ফাঁশিয়াখালীর ঘুনিয়ায় পাশাপাশি হিন্দু পাড়া ও বড়–য়া পাড়া। নিটু বড়–য়ার মেয়ে কান্তা বড়ুয়ার সাথে সুরেশ শুক্লা দাশের ছেলে টিপু দাশের প্রেমের সম্পর্ক হয়। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলে তাদের মধ্যে। দুই জন দুই ধর্মের হওয়ায় দুই পরিবারের কেউই তাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলনা। কান্তা এইচএসসি পাস করার পর ৬ মাস আগে প্রেমিক টিপু ও প্রেমিকা কান্তা আত্মিয়দের অগোচরে বিয়ে করে। পরে টিপুর পরিবার কান্তাকে মেনে নিলে শ্বশুর বাড়িতে সুখেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু বিয়ের আগে টিপু বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করবে বলে কথা দিয়েছিল কান্তাকে। বিয়ের পরও সেই কথা না রাখায় সম্প্রতি কথায় কথায় বাকবিতন্ডা হতো স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে কান্তার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অনিমেষ রঞ্জন দে বলেন, দু’গোত্রের ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রেম করে বিয়ে হলেও তাদের মধ্যে কোন ঝগড়া বিবাদ বা অসন্তোষমূলক কোন কর্মকান্ড ছিল না। কারো কাছ থেকে শোনাও যায়নি। হঠাৎ সকালে শুনি ফাঁস খেয়ে কান্তা আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত চৌধুরী বলেন, মৃত কান্তার প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে মহিলা পুলিশ দিয়ে। এসময় কান্তার হাত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রেম করে বিয়ের ৬মাস পর গৃহবধূ মারা যাওয়ায় নানা ধরনের কানাঘুষা হচ্ছে। তাই মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ডাক্তারের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এছাড়া শ্বশুর বাড়ির লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মেয়ের বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা